• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

গ্রাহকের অর্ধকোটি টাকা নিয়ে উধাও কল্যাণ ফাউন্ডেশন

স্টাফ রিপোর্টার, পটুয়াখালী

  ১৯ জুন ২০২০, ১৮:৫৬
potuakhali
পটুয়াখালী

পটুয়াখালীতে কয়েকশ’ গ্রাহকের অর্ধকোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গিয়েছে মানব কল্যাণ ফাউন্ডেশন নামে একটি কোম্পানি। গত বুধবার দিবাগত রাতে ভাড়া নেওয়া অফিসে তালা লাগিয়ে উধাও হয়ে যায় এই কোম্পানিটি।

বৃহস্পতিবার সকালে ঋণ নিতে এসে অফিসের লোকজন উধাও হয়ে যাওয়ার খবর শুনে পথে বসার উপক্রম হয়েছে এই এলাকার কয়েকশ’ নারী-পুরুষের। তারা মানব কল্যাণ ফাউন্ডেশন নামে ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন।

ভুক্তভোগী গ্রাহকদের অভিযোগ, পটুয়াখালী শহরের বাঁধঘাট এলাকায় একটি পাকা ভবন ভাড়া নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে মানব কল্যাণ ফাউন্ডেশন নামে একটি এনজিও প্রতিষ্ঠান। এই অফিসের লোকজন ক্ষুদ্র কুটির শিল্পের উপর ঋণদানের লক্ষ্যে তারা কাজ করছে বলে এলাকার লোকদের জানায়। ওই অফিসের লোকজন এবং সে লক্ষ্যে ১৭ জুন তিনজন মাঠ-কর্মী গ্রামে গ্রামে গিয়ে করোনাভাইরাসের মধ্যে নতুন সদস্য (গ্রাহক) নেওয়ার কথা বলে।

তারা আরও জানায় যারা পাঁচ হাজার টাকা করে জমা দিবে তাদের ৫০ হাজার টাকা করে ঋণ দেওয়া হবে এবং যারা দশ হাজার টাকা জমা দিবে তাদের এক লাখ টাকা করে ঋণ দেওয়া হবে। গ্রাহকরা সরল বিশ্বাসে কেউ পাঁচ হাজার টাকা, কেউ তিন হাজার টাকা এবং কেউ কেউ দুই হাজার টাকা করে জমা দেন।

যেসব গ্রাহকরা টাকা জমা দিয়েছেন তাদের পর দিন বৃহস্পতিবার ঋণ দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেয় ওই কোম্পানির লোকজন। সে মোতাবেক গ্রাহকরা মনের আনন্দে বৃহস্পতিবার সকালে ঋণ নেওয়ার জন্য মানব কল্যাণ ফাউন্ডেশন কার্যালয়ে যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখে অফিসে তালা ঝুলছে এবং অফিসের সাইন বোর্ডও নেই। খোঁজ নিয়ে জানতে পারে ওই কোম্পানি অফিসে তালা লাগিয়ে উধাও হয়ে গেছে।

ভুক্তভোগী গ্রাহক সোনালী রানী দাস বলেন, ‘তার মানব কল্যাণ ফাউন্ডেশনের অধীনে সদর উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের খলিসাখালী গ্রামে একটি সমিতি করেছেন এবং তার সমিতির নাম গোলাপ মহিলা সমিতি। যার কোড নং-১ ও সদস্য নং-৩। এ সমিতির সদস্যরা ওই কোম্পানিতে কেউ পাঁচ হাজার, আবার কেউ তিন হাজার করে টাকা জমা দেয় ঋণের আশায়।

কিন্তু আমাদের টাকা হাতিয়ে নিয়ে তারা এভাবে উধাও হয়ে যাবে তা ভাবতেও পারিনি। আমরা এখন নিঃস্ব হয়ে গেছি এবং আমাদের এখন পথে বসার উপক্রম হয়েছে।’

এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতার মোর্শেদ জানান, ঘটনাটি শুনেছেন তিনি। তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে কারা এসব করেছে ও কারা এ প্রতিষ্ঠানের মালিক ছিলেন। অপরাধীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh