• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

লালমনিরহাটে ভাঙন আতংকে নির্ঘুম রাত কাটছে তিস্তা পাড়ের মানুষের

স্টাফ রিপোর্টার, লালমনিরহাট

  ১৭ জুন ২০২০, ২০:৩৭
লালমনিরহাটে ভাঙন আতংকে নির্ঘুম রাত কাটছে তিস্তা পাড়ের মানুষের
তিস্তা নদীর ভাঙন

লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিনই নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে আবাদি জমি। নদী ভাঙন আতংকে নির্ঘুম রাত কাটছে তিস্তা পাড়ের লোকজন। ইতোমধ্যে চর গোকুন্ডা গ্রামের নদী গর্ভে চলে গেছে শতাধিক পরিবারের বসতভিটা, কয়েকশ বিঘা আবাদি জমি, বেশ কয়েকটি বাঁশঝাড়, ফলের বাগান ও স্থাপনা।

ভাঙন ভয়ে আতংকিত হয়ে অনেক পরিবারের লোকজন তাদের ঘর-বাড়ি সরিয়ে ফেলছেন অন্যত্রে। কেটে ফেলছেন বসতভিটার উপর গাছপালা। কোনভাবেই ঠেকানো যাচ্ছেনা নদী ভাঙন। ভাঙন কবলিত লোকজন তাদের সহায় সম্বল হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। প্রিয় বসতভিটাটিও শেষ পর্যন্ত নদী গর্ভে চলে যাওয়া কাঁদতে কাঁদতে অনেকে হয়েছেন বাকরুদ্ধ। অর্থাভাবে অনেকের দিন কাটছে অর্ধাহারে- অনাহারে।

ভাঙনকবলিত এলাকার বাসিন্দা শাহিন মিয়া, হযরত আলী, সোহরাব হোসেন জানান, অতিবৃষ্টির ফলে তিস্তা নদীতে ভাঙন বেড়েছে। গেল এক সপ্তাহে আমাদের ফসলী জমি, বাঁশ ঝাড় নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অনেকে বেশ কয়েকবার বাড়িঘর সরিয়ে নিয়েছেন। এতে আর্থিক ক্ষতির কবলে পড়েছেন এসব এলাকার মানুষ। ভাঙন থেমে নেই। নদীতে বাঁধ দেয়া না হলে অতি দ্রুত আমাদের চর গোকুন্ডা গ্রামটি বিলীন হয়ে যাবে।
চরগোকুন্ডা, রাজপুর, খুনিয়াগাছ, মহিষখোঁচা, গোবর্ধন, চন্ডিমারী, বালাপাড়াসহ ১৫টি গ্রামে তিস্তা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নদী ভাঙনে মানুষজন সর্বস্বান্ত হয়ে গেছে। একদিকে করোনার কারণে এসব খেটে খাওয়া মানুষ বর্তমানে কর্মহীন হয়ে পড়েছে অপরদিকে শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। ফলে অনাহারে, অর্ধাহারে তাদের জীবন কাটছে।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড লালমনিরহাট জেলার উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুল কাদের জানান, জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন রোধের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞ দল ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh