• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

তিন সন্তানের জননীকে কুপ্রস্তাব, ইউপি সদস্যকে গণধোলাই

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি, আরটিভি অনলাইন

  ১৭ জুন ২০২০, ১৭:৪৭
Locals handed over a UP member to the police after he made a bad proposal to the mother of three children.
টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলের বাসাইলে তিন সন্তানের জননীকে কুপ্রস্তাব দেয়ায় এক ইউপি সদস্যকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (১৬ জুন) রাতে উপজেলার ফুলকী ইউনিয়নের তিরঞ্জ গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম (৪৮) তিরঞ্জ গ্রামের পূর্বপাড়ার বাসিন্দা এবং ফুলকি ইউপি’র ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য। তিন সন্তানের জননী চা দোকানীর স্ত্রী (৩৪) ও একই গ্রামের পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা।

তিন সন্তানের জননী চা দোকানীর স্ত্রী জানান, একটি মামলায় আমার পরিবারের সদস্যরা আসামি হবার সুবাদে সাইফুল মেম্বার গত ৩/৪ দিন যাবত আমাকে মোবাইল ফোনে কল দিতেন। রাতে কল দিয়ে পুলিশ আসবে বলে আমার পরিবারের পুরুষ সদস্যদের বাড়িতে অবস্থান করতে নিষেধ করতেন।

এর মাঝে আমাকে বিভিন্ন আপত্তিকর কথা এবং তার সঙ্গে আপত্তিকর কাজে লিপ্ত হবার জন্য বলতেন। সম্পর্কে আমি চাচী এবং এসব বাজে কথা বলতে তাকে আমি নিষেধ করি। এতে সাইফুল আরও বেপরোয়া আচরণ করতে শুরু করেন।

বিষয়টি আমি আমার স্বামীসহ পরিবার এবং স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্যকে অবহিত করি। বেপরোয়া সাইফুল মেম্বার মঙ্গলবার (১৬ জুন) রাতে আমাকে ত্রিশ বারের বেশি কল দেয়। কোনো প্রকার সাড়া না দেয়ায় গভীর রাতে সে আমার ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় আমার স্বামী এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তাকে হাতে নাতে আটক করে এলাকাবাসীদের খবর দেয়।

এলাকাবাসী এসে সাইফুলকে গণধোলাই দেয়। এ সময় স্থানীয় মাতব্বররা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

ফুলকী ইউপি’র ১, ২, ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য মলি আক্তার জানান, ভুক্তভোগী ওই নারী বিষয়টি আমাকে জানানোর সঙ্গে সঙ্গে আমি ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলামকে এসব অপরাধমূলক কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেছি।

এ ব্যাপারে ফুলকী ইউপি’র চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, বিষয়টি নিয়ে অনেক লোকজনের সঙ্গে বসেছি, পরে কথা বলি।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি চা-দোকানদারের স্ত্রী’র পরিবারসহ এলাকার লোকজনের মারধরের বিষয়টি স্বীকার করেন। কিন্তু কেন ও কোন ঘটনায় তারা মারধর করেছে- এমন প্রশ্ন শুনে তিনি মোবাইল ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

বাসাইল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুন অর রশীদ বলেন, এ বিষয়ে থানায় এখনো কেউ কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ দিলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

এজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রাজধানীতে পুলিশ ক্যাম্পে আগুন
যেকোনো দুর্যোগে পুলিশ জনগণের পাশে রয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
হারিয়ে যাওয়া বৃদ্ধা মাকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিলো পুলিশ
বেআইনি কাণ্ডে এবার অভিনেত্রী তামান্নাকে পুলিশের তলব
X
Fresh