• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

আজ রাত থেকেই মানিকগঞ্জের ৭টি এলাকায় কঠোর লকডাউন

স্টাফ রিপোর্টার, মানিকগঞ্জ

  ১৫ জুন ২০২০, ১৭:৫৩
Corona virus lock-down red zone
মানিকগঞ্জ

করোনাভাইরাসে সংক্রমণ ঠেকাতে মানিকগঞ্জের সদর, সাটুরিয়া ও সিংগাইর উপজেলার ৭টি এলাকাকে রেড জোনের আওতায় এনে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

সোমবার (১৫ জুন) রাত ৮টা থেকে আগামী মাসের ৪ জুলাই পর্যন্ত এই লকডাউন বলবৎ থাকবে বলে জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস স্বাক্ষরিত এক গণ-বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

লকডাউনের আওতাভুক্ত এলাকাগুলো হলো, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার উত্তর সেওতা, পশ্চিম দাশড়া, গঙ্গাধরপট্টি, শহরের শহীদ রফিক সড়ক, গার্লস স্কুল সড়ক, গঙ্গাধরপট্টি থানা রোড, খালপাড় থেকে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের আগ পর্যন্ত শহীদ সরণি ও মানিকগঞ্জ বাজার এলাকা, সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোরা ও সাটুরিয়া ইউনিয়ন এবং সিংগাইর উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়ন ও সিংগাইর পৌরসভা।

নির্দেশনা অনুযায়ী রেড জোন ঘোষিত এলাকার কোনো ব্যক্তি ঘর থেকে বের হতে পারবেন না। এই এলাকার কেউ বাইরে কিংবা বাইরের কেউ এই এলাকায় আসা যাওয়া করতে পারবেন না। সকল ধরনের শপিং মল, দোকানপাট বন্ধ থাকবে।

মসজিদে নামাজের সময় ইমাম মুয়াজ্জিনসহ ৫ জন এবং জুম্মার নামাজে সর্বোচ্চ ১০ জন থাকতে পারবেন। যথারীতি আওতামুক্ত থাকবে সাংবাদিকসহ জরুরি সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি, সরকারি ও ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান, শিল্প কারখানায় কর্মরত ব্যক্তি ও তাদের বহনকারী গাড়ি।

উল্লিখিত রেড জোন ঘোষিত এলাকাগুলোতে আরোপিত আইন বাস্তবায়নে তিনটি উপজেলায় গঠন করা হয়েছে ৪ সদস্যের ভিজিলেন্স টিম। সিংগাইর উপজেলা ভিজিলেন্স টিমের প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মনিরুজ্জামানকে, সাটুরিয়া উপজেলা ভিজিলেন্স টিমের প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুছাম্মৎ শাহীনা আকতার এবং মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা ভিজিলেন্স টিমের প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. নাদিরা আখতার। প্রতিটি টিমে সদস্য করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার-ইন-চার্জকে।

মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ থাকবে সার্বিক দায়িত্বে।

মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস বলেন, আদেশে বর্ণিত সকল আইন কঠোরভাবে পালন করা হবে। ঘোষিত এলাকাগুলোর চারপাশে বেষ্টনীর মাধ্যমে আটকে দেওয়া হবে। আদেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, আনসারসহ বিপুল সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন। প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ড কমিটির সাথে স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করবেন। প্রতিটি ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমাণ দোকান থাকবে। কুইক রেসপন্স টিমের সদস্যরা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ওষুধ পৌঁছে দিবে।

রেড জোন ঘোষিত এলাকায় নির্দেশিত আইন মান্য করে চলতে এবং আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছেন জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস।

এজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
করোনায় আরও একজনের মৃত্যু
আরও ৩৫ জনের করোনা শনাক্ত
করোনায় প্রাণ গেলো আরও ১ জনের, শনাক্ত ৪৯
আরও ৪৬ জনের শারীরে করোনা
X
Fresh