• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সেই নারীর পাশে দাঁড়ালেন মাশরাফি

নড়াইল প্রতিনিধি, আরটিভি অনলাইন

  ০৮ জুন ২০২০, ২১:৫১
Woman Mashrafe moved
ছবি সংগৃহীত

নড়াইলে সেই অন্তঃসত্ত্বা নারীর পাশে দাঁড়ালেন এমপি মাশরাফি ও লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশিকুর রহমান। লোহাগড়া উপজেলার ইতনা গ্রামের সেই অন্তঃসত্ত্বা ইতি খানম অবশেষে আশ্রয় খুঁজে পেয়েছে।

সোমবার বিকেলে লোহাগড়া থানা পুলিশ তাকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে দিয়ে আসেন। ইতি খানম (২০) উপজেলার ইতনা গ্রামের কাজী হারুন অর রশিদের মেয়ে এবং একই গ্রামের বাসিন্দা তিতাস কাজীর স্ত্রী।

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশিকুর রহমান জানান,নড়াইল-২ এর সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার নির্দেশে এবং নড়াইল জেলা ও থানা-পুলিশের তৎপরতায় অবশেষে স্বামীর বাড়িতে তার জায়গা হয়েছে। ইতি আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা,তাকে একজন মহিলা গ্রাম চৌকিদার দেখভাল করবে এবং একজন পুরুষ চৌকিদার তার খোঁজখবর রাখবে।

পরবর্তীতে ইতির সাথে মুঠোফোনে কথা বললে সে বলে পুলিশ ও গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতায় আমি আমার স্বামীর বাড়িতে এসেছি।

উল্লেখ্য অচেতন হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকা আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারী ইতি খানমকে (২০) স্বামী নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। রাস্তায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে ছিল। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। গত ছয়দিনে হাসপাতালে তার স্বজনেরা তাকে দেখতে আসেনি।

ইতি খানম নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা গ্রামে হারুন অর রশিদের মেয়ে। এ উপজেলার ইতনা গ্রামের একই গ্রামের বাসিন্দা মামাতো ভাই তিতাস কাজীর (৩০) সঙ্গে প্রায় দুই বছর আগে তার বিয়ে হয়। তিতাস কাজী ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। এর আগে তিতাস কাজী তিনটি বিয়ে করেছেন। দুই স্ত্রী নির্যাতনের শিকার হয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন। আরেকজন মারা গেছেন।

ইতির পরিবার জানায়, গেল এক বছর ধরে ইতিকে তার স্বামী প্রায়ই নির্যাতন করে। গেল এক জুন তালাক দেওয়ার জন্য তার স্বামী বাড়িতে কাজী ডেকে নেন। তালাকে স্বাক্ষর না করায় সারাদিন মারধর করে বিকেলে বাড়ি থেকে বের করে দেয় তার স্বামী। সন্ধ্যায় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করে। তার শ্বশুরবাড়ির পরিবার খুব প্রভাবশালী। জোর করে পরিবারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে তাকে বিয়ে করে দুই বছর আগে। বিয়েতে মেয়েটি রাজি না হয়ে আত্মীয় বাড়ি গিয়ে পলায়। সেখান থেকে ধরে এনে তাকে বিয়ে দেওয়া হয়।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইতি বলেন, আমি এখন আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আমার বাবার বাড়ি থেকে তাকে তালাক দিতে বলে। আমি এতে রাজি না হওয়ায় বাবার বাড়ি থেকে আমার খোঁজ নিচ্ছে না। শ্বশুরবাড়ি থেকেও তালাক দিতে চায়। কিন্তু আমি স্বামীর সংসার করতে চাই। হাসপাতালে আসার পর আমার কোনও আত্মীয়-স্বজন আমার খোঁজ নেয়নি। আমি এখন কোথায় আশ্রয় পাব ?

ইতির স্বামী তিতাস কাজীর মুঠোফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। লোহাগড়া থানার ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, ‘তাকে আমরা হাসপাতালে ভর্তি করেছি। তার শ্বশুরবাড়ি তালা দেওয়া। ঘটনার পর তারা পালিয়েছে। তার স্বামীকে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বেড়েই চলছে নারী নির্যাতন
৩০ বছর বয়সে ১৪ নারীর স্বামী সাঈদ
ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল প্রতিবন্ধী নারীর
নারী কর্মীদের বোরকা ও নেকাব পরা নিষিদ্ধ করল চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল
X
Fresh