মানিকগঞ্জে আইসোলেশন ওয়ার্ডে করোনা উপসর্গ নিয়ে কিশোরীর মৃত্যু
মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ১৮ বছরের এক কিশোরী।
শুক্রবার (৫ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি মারা যান। এ নিয়ে জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন ১৪ জন। আজ (শনিবার) সকালে সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক ডা. আরশ্বাদ উল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘ঢাকার ধামরাই উপজেলার জালসা গ্রামের ওই কিশোরী শরীরে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে গতকাল শুক্রবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। তিনি করোনায় আক্রান্ত কি-না তা নিশ্চিত হতে দুপুর ১২টার দিকে তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য ঢাকার সাভারে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউশনে পাঠানো হয়। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে রাতেই তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, রিপোর্ট পাওয়া গেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কিনা।
এনিয়ে জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন ১৪ জন। নিহতদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ, ৪ জন নারী ও ১ জন কিশোর। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ৩ জন। এদের মধ্যে দুই জন সিংগাইর উপজেলায় এবং অন্যজন হরিরামপুর উপজেলায়।
এদিকে, মানিকগঞ্জে নতুন করে ৮৮ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা হলো ২৮৫ জন। এ তথ্য নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল আমিন আখন্দ।
তিনি বলেন, গত ২ ও ৩ জুন মানিকগঞ্জ থেকে ২৫৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য সাভার প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছিল। সেই ২৫৭টির রিপোর্ট আজ পাওয়া গেছে। এতে ৮৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। আক্রান্তদের মধ্যে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় ২৮ জন, সাটুরিয়া উপজেলায় ২৪ জন, শিবালয় উপজেলায় ১৩ জন, ঘিওর উপজেলায় ৮ জন, সিংগাইর উপজেলায় ৭ জন, হরিরামপুর উপজেলায় ৬ জন এবং দৌলতপুর উপজেলায় রয়েছেন ২ জন।
তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত মোট তিন হাজার ১৪৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকার বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে দুই হাজার ৭৬৪টির রিপোর্ট পাওয়া গেছে। যাতে পজিটিভ পাওয়া গেছে ২৮৫ জনের দেহে। আক্রান্তদের মধ্যে ১৮ জন জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে এবং ২০৩ জন নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।
এসএস
মন্তব্য করুন