মানিকগঞ্জে অবৈধভাবে পরিবহন থেকে টোল আদায়
মানিকগঞ্জ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় পরিবহন থেকে অবৈধভাবে টোল আদায় করা হচ্ছে। পৌরসভার অভ্যন্তরীণ ট্রাক লোড আনলোড ও টোল আদায়ের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত চৈত্রমাসে। কিন্তু, এখনও অবৈধভাবে টোল আদায় অব্যাহত রেখেছেন ইজারাদার সুমন খন্দকার।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ও বুধবার রাতেও পৌর এলাকার জরিনা কলেজের মোড়, মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড, দুধবাজার, গঙ্গাধর পট্টি পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এবং মানিকগঞ্জ বিজয় মেলার মাঠ এলাকা থেকে অবৈধভাবে বিভিন্ন পণ্যবাহী ট্রাক থেকে ইজারাদারের লোকজনকে ট্রাক থেকে টোল আদায় করতে দেখা গেছে।
মানিকগঞ্জ পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১ বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র ১৪২৬ সালের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার টাকায় সুমন খন্দকারকে অভ্যন্তরীণ ট্রাক লোড আনলোড ও টোল আদায়ের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। পৌরসভার চুক্তি মোতাবেক ইজারাদার সুমন খন্দকার শহরের চারটি পয়েন্ট থেকে ওই সময়ের মধ্যে পৌরসভার অভ্যন্তরে আসা পণ্যবাহী ট্রাক থেকে মালামাল লোড-আনলোড করার কথা।
কিন্তু ওই ইজারাদার শুরু থেকে পৌরসভার দেয়া শর্ত লঙ্ঘন করে উল্লেখিত স্থানের বাইরে মানিকগঞ্জ বিজয় মেলার মাঠের মোড়, জরিনা কলেজের মোড় থেকে (অতিরিক্ত পয়েন্ট) টোল আদায় করতো।
বুধবার রাত নয়টার দিকে শহরের বিজয় মেলার মাঠের মোড়ে পণ্যবাহী ট্রাক থেকে টোল আদায়কালে কথা হয় ইজারাদারে কর্মচারী উজ্জ্বল শেখের সঙ্গে। তিনি জানালেন, ইজারাদার সুমন খন্দকারের নির্দেশে তিনিসহ চার জন শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পণ্যবাহী ট্রাক ও পিকআপ থেকে টোল নিচ্ছেন। দুই শিফটে তারা আটজন এই টোল আদায়ের কাজ করে থাকেন বলে জানান তিনি।
পৌরসভার হিসেব মতে, গেলো ৩০ চৈত্র (১৪২৬) সালে ওই ইজারাদারের টোল আদায়ের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এরপর ১ মাস ২২ দিন ধরে অবৈধভাবে টোল আদায় অব্যাহত রেখেছেন।
সূত্রমতে, ওই ইজারাদার পৌরসভার সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজশে এই অপকর্ম করার অভিযোগ রয়েছে। তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোবিন্দ সাহা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ইজারাদারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও কিভাবে দু’মাস ধরে টোল আদায় করছেন এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। এ সময় ওই কর্মকর্তা ইজারাদারের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বললে টোল আদায়ের কথা প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে টোল আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী কামরুল হুদা সেলিম জানালেন, বিষয়টি তার জানা নেই। বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন এবং ওই ইজারাদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।
এজে
মন্তব্য করুন