আখক্ষেত নিয়ে বিরোধের জেরে জেলেকে পিটিয়ে হত্যা
বরগুনার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়নের দক্ষিণ গুদিঘাটা গ্রামে আখক্ষেত নিয়ে বিরোধের জেরে এক জেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত ওই জেলের নাম মো. মোকছেদ হাওলাদার (৪০)।
গতকাল রোববার বিকেলে বিষখালী নদীর তীরে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। পরে আজ সোমবার এ ঘটনায় সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে একই পরিবারের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তারা হলেন, একই গ্রামের মো. আ. শহিদ হাওলাদার (৫০), স্ত্রী লাইলী বেগম (৪০) ও তাদের ছেলে সুমন হাওলাদার (২২)। তবে এ ঘটনায় এ পর্যন্ত নিহত ওই জেলের পরিবারের পক্ষে বামনা থানায় কোনও মামলা দায়ের করা হয়নি।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার বিকেলে জেলে মোকছেদ হাওলাদারের বাড়ির সামনের একটি আখক্ষেত নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিবেশী শহীদ হাওলাদারের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এরই একপর্যায়ে দু’জনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এই সংবাদ পেয়ে শহীদ হাওলাদারের ছেলে সুমন ও স্ত্রী লাইলী রড ও লাঠি নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।
এ সময় সুমন প্রথমে জেলে মোকছেদ হাওলাদারের মাথায় রড দিয়ে আঘাত করে। পরে স্ত্রী তার বুকে ও পিঠে লাঠি দিয়ে বেদম প্রহার করে। এতে ওই জেলে গুরুতর আহত হয়।
স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীর অবস্থা আশংকাজনক দেখে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। আজ সোমবার সকাল ৮টার দিকে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
নিহত ওই জেলে মো. মোকছেদ হাওলাদারের ছেলে মো. রবিউল বলেন, সামান্য দু-চারটি আখ চারার জন্য আমার সামনে বাবাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তারা। আমি এর প্রতিবাদ করতে গেলে আমাকে নদীতে ফেলে দেয়। পরে আমার বাবাকে ওই পরিবারের সবাই মিলে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। আমি আমার বাবার হত্যাকারীর বিচার চাই।
বামনা থানার ওসি এসএম মাসুদুজ্জামান বলেন, আমরা ঘটনাটি শুনেছি। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একই পরিবারের স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানসহ তিনজনকে আটক করে থানায় এনেছি। নিহতের পরিবারের পক্ষে মামলা করার পরে তাদের বরগুনা আদালতে পাঠানো হবে।
এজে
মন্তব্য করুন