লিবিয়ায় বাংলাদেশি হত্যাকাণ্ড: মাদারীপুরে দালালের বিরুদ্ধে মামলা
মাদারীপুরের রাজৈর থানায় লিবিয়ায় নিখোঁজ জুয়েলের বাবা রাজ্জাক হাওলাদার বাদী হয়ে দালাল জুলহাস সরদারসহ চারজনের নামে মানবপাচার আইনে মামলা করেছেন।
গতকাল রোববার রাজৈর থানায় জুলহাসসহ চারজনকে মানবপাচার আইনে এই মামলা করেন তিনি।
জানা গেছে, লিবিয়ায় গুলি করে ২৬ বাংলাদেশিকে হত্যা করে মানবপাচারকারীরা। এদের মধ্যে মাদারীপুরের ১১ যুবক।
লিবিয়ায় হতাহতের ঘটনা শুনে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশি দালাল রাজৈর উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের মজিদ শেখের ছেলে জুলহাস শেখের বাড়িতে হামলা করে নিখোঁজ যুবকদের অভিভাবক ও এলাকাবাসী। এ খবর পেয়ে রাজৈর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নিখোঁজ জুয়েল হাওলাদারের বাবা রাজ্জাক হাওলাদার ও মা রহিমা বেগম বলেন, দালাল চক্র আমাদের ছেলেসহ রাজৈরের বিভিন্ন এলাকার বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকার চুক্তিতে লিবিয়া নেয়ার কথা বলে নিয়ে যায় তিন থেকে চার মাস আগে। তারপর লিবিয়ার ত্রিপলী না নিয়ে বেনগাজী নামে এক গ্রামে আটকে রেখে নির্যাতন শুরু করে। এ সময় ভয়েস রেকর্ডে নির্যাতনের শব্দ পাঠিয়ে আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করে। আমরা হোসেনপুর জুলহাস শেখ নামের ওই দালালের বাড়িতে গিয়ে ১০ লাখ টাকা দিয়ে আসি। লিবিয়ায় গুলি করে অনেক বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়েছে। আমার ছেলেকেও পাচারকারীরা হত্যা করেছে।
একই গ্রামের নিখোঁজ মানিক হাওলাদারের বাবা শাহ আলম হাওলাদার বলেন, আমার ছেলে মানিককে লিবিয়া নেয়ার কথা বলে দালাল জুলহাস আমার কাছ থেকে চার লাখ টাকা নিয়েছে। পরে ছেলেকে বেনগাজী আটকে রেখে ভয়েস রেকর্ডের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা দাবি করে। আমি আমার ছেলেকে আনতে জুলহাসের বাড়ি গিয়ে টাকা দিয়ে আসি।
রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত জাহান বলেন, দালাল জুলহাস শেখসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। করোনা সন্দেহভাজন হওয়ায় জুলহাস শেখকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়েছে।
জেবি
মন্তব্য করুন