• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

ব্রিজের নির্মাণ সামগ্রী বিক্রির ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

পিরোজপুর প্রতিনিধি, আরটিভি অনলাইন

  ৩০ মে ২০২০, ২২:২০
Case UP chairman selling construction materials
ছবি সংগৃহীত

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বুলুর বিরুদ্ধে সরকারি ব্রিজের নির্মাণ সামগ্রী অবৈধভাবে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আব্দুল গাফ্ফার বাদী হয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে নাজিরপুর থানায় পেনাল কোডের ৪০৬/৪০৯/৪২০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এরপর থেকে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আত্মগোপনে রয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের মধ্য বানিয়ারী গ্রামে অজয় মন্ডলের ঘাটে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৩৬ ফুট একটি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। ওই স্থানে উপজেলা পরিষদ কর্তৃক একটি আয়রন ব্রিজ স্থাপন করা ছিল। ওই আয়রন ব্রিজের লোহার ৪১ খানা ভীম উপজেলা পরিষদের কোনও অনুমতি ছাড়াই আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বুলু গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গহরডাঙ্গা গ্রামের মৃত সিরাজ শেখের ছেলে ইসরাফিল শেখের কাছে বিক্রি করেন।

পরে ইসরাফিল একটি টমটমে করে ওই মালামাল নিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়ার পথে স্থানীরা টমটমসহ ওই মালামাল আটক করে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করেন। সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান, উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন মিয়া ও মাটিভাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ নুরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে হাজির হন।

তখন তাদের জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বুলুর সামনেই ইসরাফিল মালামালগুলো চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ক্রয় করার কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করেন। তবে প্রশাসনের জিজ্ঞাসাবাদে ওই মালামাল বিক্রির ব্যাপারে কোনও সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি চেয়ারম্যান। এ সময় পুলিশ ওই মালামালগুলো জব্দ করেন।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন মিয়া জানান, এসব মালামাল ইউনিয়ন পরিষদে সংরক্ষণের বিধান রয়েছে। তবে চেয়ারম্যান সংরক্ষণের নিয়ম-কানুন মানেন নি। তাছাড়া উপজেলা নিলাম কমিটির অনুমোদন ছাড়াই আত্মসাতের উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে বিক্রি করে।

নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মুনিরুল ইসলাম মুনির জানান, টমটমসহ মালামালগুলো পুলিশ জব্দ করেছে। তাছাড়া এ ঘটনায় উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আব্দুল গাফ্ফারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে।

ঘটনার পর থেকেই চেয়ারম্যান আত্মগোপনে থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে তাকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান জানান, সরকারি কোনও মালামাল উপজেলা পরিষদের নিলাম কমিটির অনুমোদন ছাড়া বিক্রি করার সুযোগ নাই। তবে চেয়ারম্যান নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই অবৈধভাবে আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে মালামালগুলো বিক্রি করেছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তাই এ ঘটনায় সরকারের পক্ষে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
প্রভাসের নতুন সিনেমার স্বত্ব বিক্রি হলো যত টাকায়
শিশু অপহরণ করে বিক্রি করতো চক্রটি
টাইটানিকের সেই দরজা নিলামে যত টাকায় বিক্রি হলো
৩ ঘণ্টায় বিক্রি হলো ট্রেনের ১৫ হাজার টিকিট
X
Fresh