• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

যশোরে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন

যশোর প্রতিনিধি, আরটিভি অনলাইন

  ৩০ মে ২০২০, ১১:৩০
Young man stabbed to death in Jessore
ছবি সংগৃহীত

যশোর শহরের স্টেডিয়ামপাড়ায় প্রতিপক্ষের এলোপাথাড়ি মারপিট ও ছুরিকাঘাতে আল মামুন (২৩) নামে এক তরুণ খুন হয়েছেন।

মামুন খড়কি এলাকার বুলুর বাড়ির ভাড়াটিয়া আবুল বাশারের ছেলে। পেশায় তিনি নির্মাণ শ্রমিক। তার পৈত্রিক নিবাস কেশবপুরের ব্রহ্মকাটি গ্রামে।

মামুনের বন্ধু খড়কি এলাকার আপনের মোড়ের নওয়াজের ছেলে আরাফাত জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে স্টেডিয়ামের গেটের সামনে বটগাছের নিচে তিনিসহ তিন বন্ধু বসে ছিলেন। তখন ওই এলাকা ও আরবপুরের বেশ কয়েকজন সেখানে যায়। কথা আছে বলে তারা স্টেডিয়ামের মধ্যে নিয়ে যায় মামুনকে। তারা স্টেডিয়ামের গেট টপকে ভেতরে ঢুকে এবং সেখানে গিয়ে বসে। সে সময় তাদের প্রতিপক্ষ খড়কি হাজামপাড়ার রকিকুল ইসলামের ছেলে সাব্বির, আরবপুর এলাকার ব্লাক সিয়াম, মাহিন, খোলাডাঙ্গার জয়, মিশু, এমএম কলেজপাড়ার রফিক, রসুল, তাসিম, হৃদয়, বক্কার, আরিফসহ ১৮-২০ জন ছিল।

আরাফাত বলছিলেন, তারা সেখানে নিয়ে গিয়ে বলে, এমএম কলেজের ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান এবং আরবপুর এলাকার যুবলীগ নেতা সাইদুজ্জামান বাবু ওরফে দাতাল বাবু ভাইয়ের নামে কী বলেছিস? তাদের নামে কথা বলতে হলে সম্মান দিতে হবে।

এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটকাটি হয়। পরে স্টেডিয়াম থেকে সবাই বের হয়ে খড়কি কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির পাশে বটতলায় যায়। সেখানে গিয়ে ফের তর্কবিতর্ক হয়। একপর্যায়ে সবাই মিলে মামুনকে কিল-ঘুষি, লাথি-চড় মারতে থাকে।

তখন সাব্বির তার কাছে থাকা চাকু দিয়ে মামুনের শরীরে আঘাত করে। মামুন আহত অবস্থায় মাটিতে পড়ে গেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত নয়টার দিকে তিনি মারা যায়।

যশোর পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান চাকলাদার মণি বলেন, মাগরিবের নামাজের পর এ ঘটনা ঘটে। তখন চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলাম। আমাদের সামনেই ওই ছেলেটির ওপর হামলা হয়। এ সময় আমরা ছুটে গিয়ে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করি। তাকে হাসপাতালে পাঠাই। পরে শুনি ছেলেটি মারা গেছে।’

হাসপাতালে সার্জারি ওয়ার্ডের চিকিৎসক ডা. রেফাত শিকদার জানিয়েছেন, আহত মামুনের অবস্থা বেশ খারাপ ছিল। তার ডান পায়ের উরুর উপরের অংশের শিরা (চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় আর্টারি) কেটে যায়। ফলে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। রক্ত বন্ধ করা যায়নি। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে তার মৃত্যু হয়েছে।

কোতয়ালি থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) শেখ আবু হেনা মিলন জানিয়েছেন, মামুনকে কারা হত্যা করেছে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। আসামি ধরার জন্য ইতিমধ্যে ওই এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বজ্রপাতে কোরআনের হাফেজসহ দুই যুবকের মৃত্যু
জাল ভিসায় এয়ারপোর্টে ধরা, দালালের বাড়িতে ৬ যুবক
একদিন পর বাংলাদেশি যুবকের লাশ ফেরত দিলো বিএসএফ
সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত
X
Fresh