ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড জয়পুরহাটের বিভিন্ন গ্রাম, নিহত ৪
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল পৌর এলাকার খলিশাগাড়ী গ্রামে দেওয়াল চাপা পড়ে মা শিল্পী বেগম (২৭) ও দুই ছেলে সন্তান নেওয়াজ মিয়া (৭) নিয়ামুল হোসেন (৩) ও পার্শ্ববর্তী কালাই উপজেলার হারুঞ্জা গ্রামে মরিয়ম বেগম (৭০) নামে আরও এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।
প্রবল ঝড়ে প্রায় ১১ হাজার পাকা বোরো ধানের ক্ষেত জমিতে শুয়ে পরে ফসলহানীর আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। এ ছাড়াও জেলায় প্রায় দুই শতাধিক কাচা ও আধা পাকা বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে গেছে, উপরে পরেছে কয়েক হাজার গাছ-পালা। মঙ্গলবার মধ্য রাতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, খলিশাগাড়ী গ্রামের চার নম্বর ওয়ার্ডের জয়নাল মিয়ার স্ত্রী ও তার দুই ছেলে সন্তান এবং বৃদ্ধা মরিয়ম কালাই উপজেলার হারুঞ্জা গ্রামের মৃত ছালামত আলীর স্ত্রী।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার সালাম কবির জানান, মঙ্গলবার রাতে প্রচণ্ড ঝড় শুরু হলে ঘরের (বেড়া ও মাটি দিয়ে তৈরি) ধারে একটি গাছ তাদের ঘরের চালার উপরে পড়ে মা ও তার সন্তানরা দেওয়ালের নীচে চাপা পড়ে যায়, ঝড় থেমে গেলে স্থানীয়রা মা ও সন্তানদের উদ্ধার করে ক্ষেতলাল স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রথমে বড় সন্তান নেওয়াজ এবং তার কিছুক্ষণ পর মা শিল্পী ও ছোট সন্তান নিয়ামুল এর মৃত্যু হয়। নিহতের স্বামী অন্য ঘরে থাকার কারণে তার কোনও ক্ষতি হয়নি বলেও জানান ওসি।
এদিকে প্রবল ঝরে বড় একটি রেন্ট্রি গাছ ভেঙে ওই দরিদ্র বৃদ্ধার ঘরের চালার উপরে পরে বৃদ্ধার মৃত্যু হয়।
বৃধবার সকাল থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হোসেন জানান, মৃতদের সৎকারের জন্য ইতোমধ্যে প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আরও ১৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। অন্য দিকে ক্ষয় ক্ষতির পরিমান নিরুপণ করে যত শিগগিরই সম্ভব ক্ষতিগ্রস্তদের অনুদান দেওয়া হবে।
জেবি
মন্তব্য করুন