• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

করোনাও ঠেকাতে পারলো না বাংলাদেশি-পাকিস্তানির বিয়ে!

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

  ২২ মে ২০২০, ১৮:১৭
করোনাভাইরাস, বাংলাদেশি, পাকিস্তানি, বিয়ে
মুহাম্মদ উমের ও মুরসালিন সাবরিনা।

করোনাভাইরাসও দমাতে পারেনি ভালোবাসাকে। হয়তো হাতে হাত চোখে চোখ রেখে প্রেমিকযুগল মালাবদল করতে পারেননি, কিন্তু অনলাইনেই চোখে চোখ রেখে মুচকি হাসি দিয়ে দুজন দুজনকে ভালোবাসার শেষ বন্ধনে বেঁধেছেন। করোনার কারণে বাধ্য হয়ে সুদূর ভিনদেশী পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুলতান শাহরুখনে আলম কলোনির যুবক মুহাম্মদ উমেরকে অনলাইনেই বিয়ের কাজ সেরে ফেললেন জয়পুরহাট পৌর শহরের কাশিয়াবাড়ি এলাকার মেয়ে মুরসালিন সাবরিনা।

বৃহস্পতিবার (২১শ মে) বিকেলে কনের বাড়িতে অল্প কিছু সংখ্যক স্বজন ও স্থানীয় প্রতিবেশীদের উপস্থিতিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অনলাইন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এ বিয়ে সম্পন্ন করেন মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, জয়পুরহাট পৌর শহরের কাশিয়াবাড়ি এলাকার পাঁচবিবি সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা মোজাফ্ফর হোসেনের দুই মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে মুরসালিন সাবরিনা আমেরিকান অনলাইন বিশ্ববিদ্যালয় ‘ইউনিভার্সিটি অব দ্য পিপল’ এ লেখাপড়া করছেন ২০১৮ সাল থেকে। সেখানে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি হন সাবরিনা। একই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করা অবস্থায় ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টদের নিজস্ব ওয়েবসাইট ইয়েমার এর মাধ্যমে পরিচয় ঘটে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুলতান শাহরুখনে আলম কলোনির যুবক প্রকৌশলী মুহাম্মদ উমের এর সঙ্গে। উমেরের বাবা বিলাল আহম্মেদ সবজি ও ফলমূল ব্যবসায়ী।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অনলাইনে তাদের পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৯ সালে তাদের এই প্রেমের সম্পর্ক জানাজানি হয় উভয়পক্ষের অভিভাবকদের মাঝে। এরপর উভয় পরিবারের অভিভাবকরা তাদের বিবাহ সম্পন্নের সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত মোতাবেক উম এবং তার পরিবার বাংলাদেশে আসার জন্য ২০২০ সালের ৭ ফেরুয়ারি ভিসার জন্য আবেদন করেন। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে জয়পুরহাটে সাবরিনা এবং তার পরিবারের খোঁজখবর নেয় স্থানীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ভিসা নিয়ে মার্চ মাসেই উমের এর পরিবার বাংলাদেশে এসে বিয়ে সম্পন্ন করার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে আর আসা হয়নি। ফলে করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে স্থগিত হয়ে যায় তাদের বিয়ে।