ঘূর্ণিঝড় আম্পান: ৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত, ৩৪টি গ্রাম প্লাবিত
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে পটুয়াখালী উপকূলে বিপদ সীমার ১৭৬ সেন্টিমিটার (প্রায় ৬ ফিট) উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে পটুয়াখালীর কমপক্ষে ৩৪টি গ্রাম।
বেড়িবাঁধ ভেঙে তলিয়ে যাওয়া গ্রামগুলো হলো জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়া, চর আন্ডাসহ পাঁচটি গ্রাম, দুমকি উপজেলার উত্তর পাঙ্গাশিয়া, দক্ষিণ পাঙ্গাশিয়া, রাজগঞ্জ ও লেবুখালীসহ পাঁচটি গ্রাম, দশমিনা উপজেলার রংগোপালদীর বুড়ির কান্দাসহ দু’টি গ্রাম, গলাচিপা উপজেলার চর কাজল, চর বিশ্বাস, গোলখালী, রতনদী তালতলী, ডাকুয়া, পানপট্টি ও বকুলবাড়িয়াসহ ১০টি গ্রাম।
এছাড়াও কলাপাড়া উপজেলার চৌধুরীপাড়া, ছোট পাঁচ নং, বড় পাঁচ নং, মুন্সীপাড়া, হাসনাপাড়া, মঞ্জুপাড়া, চান্দুপাড়া, কালাউপাড়া, ধনজুপাড়া, বানাতিপাড়া, চাড়িপাড়াসহ ১২টি গ্রাম। এতে উপকূল অঞ্চলের মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় নির্ঘুম একটি রাত কাটালো পটুয়াখালীর উপকূলবাসি।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে পটুয়াখালীতে দুইজন মারা গেছেন। এর মধ্যে বুধবার সন্ধ্যায় বাবা-মা’র সঙ্গে আশ্রয় কেন্দ্রে যাবার সময় গাছের ঢাল পড়ে জেলার গলাচিপার পানপট্টিতে রাশেদ নামে ৫ বছরের এক শিশু মারা গেছে। রাশেদ পানপট্টি ইউনিয়নের খরিদা গ্রামের শাহজাদা মিয়ার ছেলে।