সড়কে অজ্ঞান নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলেন ওসি
মানুষ মানুষের জন্য। জীবন জীবনের জন্য কথাটা মিথ্যা নয় সত্য । তার প্রমাণ দিলেন ওসি। শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার একটি সড়কে প্রায় দুই ঘণ্টা অজ্ঞান অবস্থায় পরে ছিল এক নারী। করোনা সন্দেহে যখন কেউ তাকে উদ্ধার করতে কাছে আসছিল না, তখন নড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এসে ওই নারীকে উদ্ধার করে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
গতকাল বুধবার বিকেল তিনটার দিকে উপজেলার ভূমখাড়া ইউনিয়নের নয়াকান্দি (নড়িয়া-ঘড়িসার) সড়ক থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়। সংবাদ লেখা পর্যন্ত হাসপাতালে অজ্ঞান অবস্থায় চিকিৎসা চলছে তার।
নড়িয়া থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার দুপুর একটার দিকে নড়িয়া উপজেলার
নয়াকান্দি (নড়িয়া-ঘড়িসার) সড়কের পাশে এক নারীকে অজ্ঞান অবস্থায় পরে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। কিন্তু করোনাভাইরাসের রোগী ভেবে কেউ তার কাছে আসেননি। তাকে উদ্ধারও করেননি। দুই ঘণ্টা পর বিষয়টি জানতে পেরে নড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ওই নারীর সঙ্গে থাকা জন্মনিবন্ধন থেকে জানা যায়, উপজেলার ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের কাঠহুগলি গ্রামের কালাচাঁন খাঁর মেয়ে সারমিন আক্তার নাম তার। তার বয়স ২২ বছর।
নড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, আজ বিকেল তিনটার দিকে এক ব্যক্তি মুঠোফোনে জানান, নড়িয়া-ঘড়িসার সড়কে এক নারী মৃত অবস্থায় পরে আছে। ঘটনাটি শুনে থানার প্রবীণ কুমার চক্রবর্তী, এসআই মামুন খান ও কনস্টেবল তামিমকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে দেখি ওই নারী মারা যাননি। অজ্ঞান অবস্থায় পরে আছেন। তখন ভাবলাম তাকে বাঁচাতে হবে। তাই নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শফিকুল ইসলামকে বলে হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি।
নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ওই নারীকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তার প্রেসার ও ডায়বেটিকস ভালো আছে। অন্যান্য পরীক্ষা চলছে। তবে জ্ঞান এখনও ফিরেনি।
জেবি
মন্তব্য করুন