• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নির্দেশনা উপেক্ষা করে ফেরিতে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার! 

স্টাফ রিপোর্টার, মানিকগঞ্জ

  ২০ মে ২০২০, ২১:৪৬
নির্দেশনা উপেক্ষা করে ফেরিতে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার! 
ছবিঃ সংগ্রহীত

করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে এবং ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার নির্দেশনা উপেক্ষা করে নানা অজুহাতে মাঝে মাঝে ফেরিতে যানবাহন ও যাত্রী পার করছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি)।

আজ বুধবার বেলা দুইটায় কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্সে রোগী পার করার কথা বলে পাঁচ শতাধিক যাত্রী উঠিয়ে পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় ফেরি-ঢাকা। ফেরিটি দৌলতদিয়া ঘাটে গেলে ফেরিটিকে ঘাটে ভিড়তে দেয়নি পুলিশ। যাত্রী ও ৪/৫টি অ্যাম্বুলেন্স বোঝাই ফেরিটিকে পাটুরিয়া ঘাটে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। এরপর মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ ওইসব যাত্রী সাধারণকে নিজ খরচে বাসে তুলে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় তাদের নিজ নিজ বাসায় ফেরত পাঠিয়ে দেয়।

এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিসি আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপ-মহাব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান জানান, ফেরি ঢাকা ৪/৫টি রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স পার করার জন্য পাটুরিয়া ঘাটের ৩ নম্বর পন্টুনে পৌঁছানে সাথে সাথে হুমড়ি খেয়ে প্রায় ৪/৫ শতাধিক যাত্রী ফেরিতে উঠে পড়ে। এরপর ঠাসাঠাসি যাত্রী নিয়ে ফেরিটি দৌলতদয়িার দিকে রওয়ানা দেয়। কিন্তু ফেরিটি যখন ঘাটে আনলোড করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল তখন পুলিশ বাঁধা দেয়। ফেরির মাস্টার বাধ্য হয়ে ফেরি আনলোড না করে ফিরে আসে পাটুরিয়া ঘাটে।

তিনি আরও জানানা, বেলা সাড়ে ৩টার দিকে দৌলতদিয়া থেকে ফেরত আসা ঢাকা ফেরিটি পাটুরিয়া ৩ নম্বর ফেরিঘাটে আনলোড করায়। যাত্রীরা তখনও ফেরি থেকে নামতে নারাজ। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে বাধ্য হয়ে যাত্রীরা ফেরি থেকে নামেন। এরপর মানিকগঞ্জ পুলিশের এসপি রিফাত রহমান শামীমের উদ্যোগে ৩/৪টি গণপরিবহন ভাড়া করে ওই সব যাত্রীদের ঢাকা অভিমুখে ফেরত পাঠানো হয়।

পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীন জানিয়েছেন, করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে এবং ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে গত দুদিন ধরে পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ আছে। এ কারণে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয় ফেরিগুলোকে মাঝনদীতে নোঙর করে রাখতে। কিন্তু আজ দুপুরে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ পুলিশকে আড়াল করে কয়েকটি রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স পার করার কথা বলে ৫ শতাধিক যাত্রী উঠিয়ে তা দৌলতদিয়া ঘাটে পাঠিয়ে দেয়। পুলিশের হস্তক্ষেপে ফেরিটিকে সেখান থেকে পাটুরিয়া ঘাটে ফিরিয়ে আনা হয় এবং সকল যাত্রীকে মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশের খরচে গণপরিবহনে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হয়।

রিফাত রহমান শামীম আরও বলেন, মহাসড়কে যাত্রীবহনকারী যানবাহন চলাচল বন্ধে মহাসড়কের গোলড়ায় চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে আগত গাড়িগুলোকে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু বিকল্প পথে ওইসব যাত্রী ঘাটে জড়ো হয়। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় তারা নৌপুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হচ্ছেন। এটা বন্ধে, জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গত কয়েকদিনে ১২টি নৌকাকে পানিতে ডুবিয়েও দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, ঢাকা রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক হাবিবুর রহমান ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকা এবং পাটুরিয়া ফেরিঘাট পরিদর্শন করেছেন। এসময়, পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) হাফিজুর রহমান, শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানিয়া সুলতানা, গোয়েন্দা শাখার সহকারী পুলিশ সুপার হামিদুর রহমান সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।

উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক হাবিবুর রহমান পুলিশের মহাপরিদর্শকের নির্দেশনা অনুযায়ী ঘাটে আগত যাত্রী ও যানবাহকে ফেরত পাঠিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করতে জেলা পুলিশকে অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, কোনোভাবেই যাত্রী এবং যাত্রীবহনকারী গাড়িকে চলাচল করতে দেয়া হবে না।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh