• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বাগেরহাটে ৫৮ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে

বাগেরহাট প্রতিনিধি, আরটিভি অনলাইন

  ২০ মে ২০২০, ১১:৫৭
Cyclone Amphan Bagerhat
ছবি সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় আম্পান থেকে রক্ষা পেতে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের প্রায় ৫৮ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। এছাড়া প্রায় ১০ হাজার গবাদি পশুকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১২টায় বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) মো. কামরুল ইসলাম এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, জেলার নয়টি উপজেলায় এক হাজার ৩১ টি সাইক্লোন সেল্টারে ৫৭ হাজার ৯২৭ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

মোরেলগঞ্জ উপজেলায় আশ্রয় নেয়া মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। একইসঙ্গে নয় হাজার ৫৫০টি গবাদি পশুকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপকূলীয় উপজেলা শরণখোলায় অবস্থান করছিলেন। তিনি উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ক্ষতি মোকাবেলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

তিনি আরও জানান, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে যাওয়ায় জেলার আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে আগের মতো লোক গাদাগাদি করে রাখা যাবে না।

সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে রাখতে হবে। এজন্য স্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রের সাথে অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলায় রেড ক্রিসেন্ট, স্কাউটস, সিপিপির মোট ১১ হাজার ৭০৮ জন স্বেচ্ছাসেক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৮৫টি মেডিকেল টিম। এ জেলার জন্য ২০০ মেট্রিক টন চাল, নগত তিন লাখ টাকা, শিশু খাদ্যের জন্য দুই লাখ, গো খাদ্যের জন্য দুই লাখ টাকা ও দুই হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ দিয়েছেন।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে বাগেরহাটে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত শুরু হয়। সন্ধ্যা থেকে বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া বইতে শুরু করে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের গতি বেড়েছে উপকূলীয় এলাকার একাধিক ব্যক্তি নিশ্চিত করেছেন।

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বেপরোয়া বাস ঢুকে পড়ল দোকানে, নিহত ১
বিয়ে বাড়ির খাসির মাংস খেয়ে ১৬ জন হাসপাতালে
দ্বিতীয় বিয়ের ৪দিন পর বাবাকে কুপিয়ে হত্যা!
বাগেরহাটে তীব্র তাপদাহ, জনজীবনে স্থবিরতা
X
Fresh