টাঙ্গাইলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের জনসাধারণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ঝুঁকি বিবেচনা করে গতকাল মঙ্গলবার থেকে সকল ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন প্রশাসন।
গেল সোমবার বিকালে এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা.নাসরীন পারভীন এ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন।
জানা যায়, করোনাভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক গত ১০ মে থেকে মার্কেট ও শপিংমল খোলা হয়। কিন্তু মার্কেট ও শপিংমলগুলোতে কোনও ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছিল না। বিরাজ করছিল জনস্রোত। এতে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পরে সাধারণ মানুষ। বিষয়টি নজরে আসে প্রশাসনের।
৯০ ভাগ লোকজন ও ব্যবসায়ীরা সরকারি নির্দেশনা মানছিলেন না। এরই প্রেক্ষিতে সোমবার (১৮মে) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা.নাসরীন পারভীন মার্কেট ও শপিংমল মঙ্গলবার (১৯ মে) থেকে বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি, ওষুধ ও কাঁচাবাজারের দোকান এ নির্দেশনার আওতামুক্ত থাকবে।
এদিকে মার্কেট ও শপিংমল বন্ধের নির্দেশনার প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা টাঙ্গাইল-তারাকান্দী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পুনরায় মার্কেট ও শপিংমল খুলে দেয়ার দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর বাজার সমিতির সভাপতি নুরুজ্জামান চকদার বলেন, প্রশাসনের শর্ত সাপেক্ষেই স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আমরা মার্কেট ও শপিংমলগুলো খোলা রেখেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করেই উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোমবার গণবিজ্ঞপ্তি জারির মাধ্যমে সকল ধরনের দোকানপাট বন্ধ করে দেন। সাধারণ দোকানদাররা দাবি জানিয়েছেন, মার্কেট খুলে দেয়া না হলে তারা বিক্ষোভ অব্যাহত রাখবেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা.নাসরীন পারভীন বলেন, মার্কেট ও শপিংমলগুলো খোলার পর থেকে কোনও ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছিল না। বিরাজ করছিলো জনস্রোত। এতে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পরে সাধারণ মানুষ। বিষয়টি নজরে আসে প্রশাসনের। ৯০ ভাগ লোকজন ও ব্যবসায়ীরা সরকারি নির্দেশনা মানছিল না। আর এ কারণেই মার্কেট, শপিংমলগুলো ও দোকানপাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
জেবি
মন্তব্য করুন