• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

কাউন্সিলরের সব তালিকাতেই স্বজনদের প্রাধান্য

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি, আরটিভি অনলাইন

  ১৮ মে ২০২০, ১৩:৩৪
কমিটি কাউন্সিলর স্বজন
ছবি সংগৃহীত

সুবিধে নেয়ার সব তালিকাতেই নিজের স্বজনদের নাম বসিয়েছেন কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম নেহার। তাদেরকে প্রাধান্য দিয়ে বানাচ্ছেন তালিকা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের এই কাউন্সিলর করোনা পরিস্থিতিতে ভিক্ষুক,ভবঘুরে শ্রেণির মানুষজনের জন্যে সরকারের চালু বিশেষ ওএমএস তালিকাতেও বাদ রাখেননি তাদের। এই তালিকার ২৯ নম্বরে রয়েছে কাউন্সিলরের আপন ভাই তাহের মিয়ার নাম। তার ছেলে প্রবাসী। ১১৯ ক্রমিকে রয়েছে তাহেরের স্ত্রী মুক্তা বেগমের নাম। ৩০ নম্বরে কাউন্সিলরের আপন ভাই জাহের মিয়ার নাম। তার ছেলে পুলিশে কর্মরত। কাউন্সিলরের চাচাতো ভাই আশরাফুল আলমের নাম রয়েছে ৩১ নম্বরে। তার রয়েছে ফার্মেসির ব্যবসা। ৩৩ নম্বরে রয়েছে কাউন্সিলরের আরেক চাচাতো ভাই ফজলু মিয়ার নাম। তারও ৩-৪ ছেলে প্রবাসে থাকেন। ফজলু মিয়ার স্ত্রী আছিয়া বেগমের নাম আছে তালিকার ২৭ নম্বরে। কাউন্সিলরের চাচাতো ভাই আব্দুল আহাদ ও আপেল মাহমুদের নাম রয়েছে ৫৩ ও ৫৪ নম্বরে।

এছাড়া ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা ছাড়াও ধনাঢ্য আরও অনেক লোকজনের নাম বসিয়েছেন কাউন্সিলর নেহার ওই তালিকায়। ৩৩৭ নম্বরে নাম থাকা হেলিম মিয়ার দুই ছেলে ইউরোপ-আমেরিকা প্রবাসী। হেনেরা বেগমের তিন ছেলে সৌদি প্রবাসী এবং আরেক ছেলে বিদ্যুৎ বিভাগে চাকরিরত। তার নামও রয়েছে তালিকার ৩৩৮ নম্বরে। এরা সবাই ওই ওয়ার্ডের ভাদুঘরের দাশ পাড়া,সাহা পাড়া,নোয়া পাড়া,খাদেম পাড়া ও এলহাম পাড়ার বাসিন্দা। পুরো ওয়ার্ডের তালিকায় সামর্থ্যবানের নামের ছড়াছড়ি রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। কাউন্সিলরের এই কীর্তিতে ক্ষোভও জমা হয়েছে এলাকার বঞ্চিত হত-দরিদ্র মানুষজনের মধ্যে। নেহার শুধু এই তালিকা নয়, বয়স্ক ভাতার তালিকাতেও দেখিয়েছেন কারিশমা। আপন ভাই-ভাবীর নাম ঢুকিয়েছেন তালিকায়। তার আপন ভাই মতি মিয়া ও তার স্ত্রীর আনোয়ারা বেগমের নাম রয়েছে ভাতা সুবিধে ভোগী তালিকার ২০৮৫ ও ২১৬৭ নম্বর ক্রমিকে। মতি মিয়ার ছেলে প্রবাসে রয়েছেন। আপন আরেক ভাই মস্তু মিয়াও পাচ্ছেন বয়স্ক ভাতা সুবিধে। তার সন্তানও প্রবাসে রয়েছেন। তার ক্রমিক ২১৮৫। আরেক ভাই তাহের মিয়ার নামও রয়েছে তালিকায়। তারা ছেলেরাও প্রবাসী। তাহেরের ক্রমিক নম্বর ২২৬০। ভাতা পাচ্ছেন নেহারের চাচাতো ভাই ফজলু মিয়া। তার তিন ছেলে রয়েছেন প্রবাসে । ২০৯৭ ক্রমিকে রয়েছে তার নাম। তার চাচাতো ভাই আবদু মিয়ার দুই ছেলে প্রবাসী। কিন্তু বয়স্ক ভাতা সুবিধে ভোগীর তালিকার ২০৫২ নম্বরে রয়েছে তার নাম। শহর সমাজসেবা বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওয়ার্ডপর্যায়ে কাউন্সিলরাই মূলত তালিকা করেন। তবে এক্ষেত্রে কমিটি রয়েছে। তাদের প্রেরিত তালিকা আমরা গ্রহণ করি।

ওয়ার্ড কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম নেহার জানান,রোববার বিশেষ ওএমএস তালিকার সংশোধনী দিয়েছেন তিনি। এখন যাকে খুশি তাকে দিলে তার আপত্তি থাকবেনা। বয়স্ক ভাতার তালিকার বিষয়ে তার বক্তব্য নিজেদের অসহায়-বৃদ্ধ এক-দু’জনের নাম ঢুকছে। আশপাশের দু-একটা লোকের নাম দেয়াতো অপরাধ নয়। আর বৃদ্ধ মানুষ ছাড়াতো কারো নাম দেয়নি।

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বাংলাদেশের সঙ্গে সাংস্কৃতিক বিনিময় বৃদ্ধির আহ্বান জানালেন চীনের কালচারাল কাউন্সিলর 
ঢাবিতে ছাত্রলীগের ‘গেস্টরুমে’ অচেতন শিক্ষার্থী, তদন্ত কমিটি গঠন
প্রসূতির পেটে গজ রেখে সেলাইয়ের অভিযোগ, তদন্তে কমিটি
রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি: বিচার মেলেনি ১১ বছরেও
X
Fresh