গাঁজা ও দুটি ট্রাকসহ মৎস্য অফিসের কর্মচারী আটক
নওগাঁর মহাদেবপুরে ৬৮ কেজি গাঁজা ও দুটি ট্রাকসহ উপজেলা মৎস্য অফিসের অফিস সহকারী রিপন হোসেনসহ (৩৩) সাতজনকে আটক করেছে র্যাব-৫। এসময় এক লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। রোববার রাত নয়টার দিকে র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা উপজেলা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ব্যাংক এশিয়ার সামনে পাকা রাস্তার ওপর অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
আটককৃতরা হলেন- মহাদেবপুর উপজেলা মৎস্য অফিসের অফিস সহকারী ও কম্পিউটার অপারেটর এবং নওগাঁ সদর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের বদিউল হকের ছেলে রিপন হোসেন (৩৩), জেলার মান্দা উপজেলার শ্রীরামপুর (উত্তরপাড়া) গ্রামের আলাউদ্দিন মণ্ডলের ছেলে আলম ইসলাম (২৬), পত্নীতলার ঘোষনগর গ্রামের দইমুদ্দিনের ছেলে সেকান্দার (৪৫), কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কালীকৃষ্ণনগর অহিদ মিয়ার ছেলে শরীফ মিয়া (৩৪), রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার শিবু পাঠানপাড়া গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে আতাউর রহমান (২৮), নাটোরের সিংড়া উপজেলার কলম গ্রামের মৃত মিজান উদ্দিনের ছেলে মাহাবুব (২৮) এবং শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার দিঘীরপাড়া গ্রামের নজুরুল ইসলামের ছেলে রাসেল মিয়া (২৭)।
সোমবার রাত দুইটায় প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়, র্যাব-৫ জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমএম মোহাইমেনুর রশিদ পিপিএম সেবার নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা পরিষদের সামনের পাকা রাস্তায় এবং বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন ব্যাংক এশিয়ার সামনে পাকা রাস্তার ওপর অভিযান পরিচালনা করে র্যাবের সদস্যরা। অভিযানে ৬৮ কেজি গাঁজা ও দুইটি ট্রাকসহ সাতজনকে আটক করা হয়। এ সময় এক লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, রিপন হোসেন ২০০৫-২০০৬ সাল থেকে সক্রিয়ভাবে আন্তজেলা মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত। ২০১১ সালে সরকারি চাকরি অফিস সহকারী ও কম্পিউটার অপারেটর পদে যোগদানের পর থেকে নিয়মিত মাদকের বড় বড় চালান কুমিল্লা, বগুড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা বজায় রাখে।
একজন সরকারি কর্মচারী হয়েও তার এ ধরনের আইন ও সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ড ইতোপূর্বে সর্বদা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল। তাকে এবং তার সিন্ডিকেটের অপর ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর বগুড়া, নওগাঁ ও জয়পুরহাট জেলাসমূহে মাদক পরিবহনের সমগ্র চক্রটি কার্যত নিস্ক্রিয় হয়ে পড়বে বলে আশা করা যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিগণ দীর্ঘদিন যাবৎ নেশা জাতীয় মাদকদ্রব্য গাঁজা অবৈধভাবে সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদকসেবী ও মাদক কারবারীদের নিকট সরবরাহ করে আসছিল বলে স্বীকার করে। আসামিদের বিরুদ্ধে মহাদেবপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে।
জেবি
মন্তব্য করুন