জয়পুরহাটে আরও আটজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত
ঢাকার আইইডিসিআরে থেকে পাঠানো রিপোর্টে জয়পুরহাটের ১৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৫৯ জনের নমুনা নেগেটিভ হলেও পিতা-ছেলে-পুত্রবধূ ও সদর উপজেলার এক স্বাস্থ্য সহকারীসহ আটজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিঞা।
আক্রান্তরা হলেন পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জী ইউনিয়নের দৈবকনন্দনপুর গ্রামের পিতা (৬৮) ছেলে(৪৫) পুত্রবধূ (৩৮), সমসাবাদ গ্রামের ভারতের তীর্থস্থান ফিরে আসা ৫৫ বছরের এক নারী, নন্দাইল গ্রামের ১৭ বছরের এক কিশোর এছাড়া সদর উপজেলার হানাইল গ্রামের ৪৭ বছরের স্বাস্থ্য সহকারী, উত্তর জয়পুর গ্রামের ৪০ বছরের এক নারী, জয়পুরহাট পৌর শান্তিনগর এলাকার ভাড়াটিয়া ৩২ বছরের যুবক জুপিটার ফার্মাসিউটিক্যালস ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি (রিপ্রেনজিটিভ)।
ধরঞ্জী ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সদস্য সচিব মাহমুদুল আলম বলেন, পিতা-ছেলে-পুত্রবধূর মধ্যে ছেলে রংপুরে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করে, সে প্রায় এক মাস আগে বাড়িতে আসে কিন্তু তার ভাই ও ভাইয়ের বউরা ঢাকায় গার্মেন্টেসে চাকরি করে তারা ১০ দিন আগে বাসায় আসে,হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা অবস্থায় তাদের সবার নমুনা নিয়ে যাওয়া হয়, ভাই ও ভাইয়ের বউদের নেগেটিভ আসলেও ঢাকায় না গিয়েও পিতা-ছেলে-পুত্রবধূর পজিটিভ এসেছে এজন্য আমরা খুব আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছি।
জয়পুরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন চন্দ্র রায় বলেন, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারীকে বাড়িতে প্রাতিষ্ঠানিক হোম কোয়ারেন্টিনে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হবে। অন্যান্যদের গোপীনাথপুর আইসোলেশন ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জয়পুরহাট সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিঞা বলেন,আক্রান্তরা করোনা রোগীর সংস্পর্শ ছাড়াও ঢাকা,নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে নিজ বাড়িতে এসেছিল, হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা অবস্থায় নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকার আইইডিসিআর এতে ১৬৭ জনের মধ্যে আটজনের পজিটিভ আসা রোগীদের স্বাস্থ্য সহকারী ছাড়া সবাইকে গোপীনাথপুর হেলথ অ্যান্ড টেকনোলজি ইন্সটিটিউটে আইসোলেশন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।
জেবি
মন্তব্য করুন