• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

তরমুজ বিক্রি না হওয়ায় লোকসানে পঞ্চগড়ের চাষিরা (ভিডিও)

মো. রনি মিয়াজী, পঞ্চগড় প্রতিনিধি

  ১০ মে ২০২০, ১৬:৪৭
Farmers Panchagarh loss watermelons sold
তরমুজ বিক্রি না হওয়ায় লোকসানে পঞ্চগড়ের চাষিরা। ছবি: আরটিভি অনলাইন

দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে চলতি মৌসুমে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। তারপর তরমুজ চাষিদের মুখে হাসি নেই। কারণ করোনা পরিস্থিতিতে তারা উৎপাদিত তরমুজ ঠিকমত বিক্রি করতে না পারছেন না।

মূলত বিভিন্ন জেলায় লকডাউন থাকায় বাইরের জেলা থেকে ক্রেতারা আসতে পারছেন না। ফলে তারাও তরমুজের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এতে তারা লোকসানে পড়ছেন বলে জানান অধিকাংশ তরমুজ চাষি।

আবার অনেক চাষি তাদের উৎপাদিত তরমুজ ক্রেতার অভাবে বিক্রিই করতে পারছেন না। ফলে জমিতেই নষ্ট হচ্ছে তাদের তরমুজ।

আজ রোববার (১০ মে) জেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ক্ষেতে প্রচুর পরিমাণে তরমুজ থাকলেও নেই ক্রেতাদের ভিড়। ফলে চাষিরা তাদের ক্ষেতের তরমুজ বিক্রি করতে না পারায় লোকসান নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

জানা গেছে, জেলার পাঁচ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এবার ব্যাপকভাবে চাষ হয়েছে তরমুজের। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বিগত মৌসুমের তুলনায় চলতি মৌসুমে তরমুজের ফলনও হয়েছে বাম্পার। কিন্তু করোনার কারণে ফল বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক।

বৈশাখের শুরুতে তরমুজ বিক্রির উপযোগী হলেও করোনার পরিস্থিতির কারণে বাইরে থেকে ব্যবসায়ীরা না আসায় তাদের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে না। ফলে কৃষদের দিন কাটছে দুশ্চিন্তায়। এ জেলার উৎপাদিত তরমুজ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হতো।

কিন্তু জেলায় জেলায় লকডাউন আর পরিবহন বন্ধ থাকার কারণে অন্য জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা আসতে পারছেন না। তাই কৃষকের উৎপাদিত তরমুজ বিক্রি না হওয়ায় ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে।

এ বিষয়ে জেলার সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের তরমুজ চাষি আফজাল হোসেন জানান, আমি বিভিন্ন সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে এবার ৬ বিঘা জমিতে তরমুজের আবাদ করেছি। ফলনও ভাল হয়েছে। কিন্তু বাইরে থেকে ক্রেতা না আসায় কম দামে তরমুজ বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে লাভ হওয়ার কথা থাকলেও আসল টাকাই তুলতে পারছি না। ফলে লোকসানে পড়েছি।

একই কথা জানান জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা তেঁতুলিয়ার শালবাহান ইউনিয়নের তরমুজ চাষি সাজেদুল ইসলাম। এছাড়াও তিনি বলেন, সরকার যদি আমাদের দিকে ফিরে চায় তাহলে আমরা অনেক উপকৃত হবো।

এদিকে পঞ্চগড় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আবু হানিফ জানান, চলতি মৌসুমে পঞ্চগড়ে ১০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। ফলনও হয়েছে বাম্পার। তবে করোনা পরিস্থিতিতে কৃষকের উৎপাদিত তরমুজ বিক্রির ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যায় পড়েছে।

তিনি আরও জানান, কৃষকরা যদি বাইরের ব্যবসায়ীদের ঠিকানা দেয়, তাহলে প্রশাসনের মাধ্যমে তাদের তরমুজ বিক্রিতে আমরা সহযোগিতা করব।

এজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
কুয়াকাটায় ১ কোরাল বিক্রি হলো ৩৩ হাজারে
পচা মাংস বিক্রি করায় ব্যবসায়ীকে জরিমানা
তরমুজের সঙ্গে বা পরে খাবেন না যেসব খাবার
চাল বিক্রিতে নতুন নির্দেশনা, না মানলে শাস্তি
X
Fresh