ভালো নেই সিরাজগঞ্জের ১০ হাজার কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক-কর্মচারী
করোনাভাইরাসের কারণে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রায় ২ মাস যাবত বন্ধ থাকা সিরাজগঞ্জের ৭ শতাধিক কিন্ডারগার্টেনের ১০ হাজারেরও অধিক শিক্ষক-কর্মচারী মানবেতর জীবনযাপন করছে। এসব কিন্ডারগার্টেনের মালিকরাও অর্থসংকটে পড়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন, বাড়ি ভাড়া বিদ্যুৎ বিল দিতে পারছেন না।
আজ রোববার (১০ মে) শহরের জুয়েল অক্সফোর্ড স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে কিন্ডারগার্টেন উদ্যোক্তা ও শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য প্রণোদনা চালু সহ সরকারের প্রতি ৪ দফা দাবী জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সিরাজগঞ্জ জেলা কিন্ডারগার্টেন সমন্বয় পরিষদের আহবায়ক মো. বরকতুল্লাহ বলেন, করোনা সংকটের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানগুলোর একমাত্র আয়ের উৎস ছাত্র-ছাত্রীদের টিউশন ফি আদায় সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের ৯৮ ভাগ অসচ্ছল উদ্যোক্তারা পড়েছেন চরম অর্থসংকটে।
এ কারণে তারা শিক্ষকদের বেতন, বাড়ি ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল দিতেও ব্যর্থ হচ্ছেন। এতে করে জেলার ৭ শতাধিক কিন্ডারগার্টেনের দশ হাজারেরও বেশি শিক্ষক-কর্মচারী বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে স্কুল বন্ধ থাকাকালীন শিক্ষক-কর্মচারীদের মাসিক ৭ হাজার টাকা বেতন, রেশনের ব্যবস্থা, স্কুল ভবনের ভাড়া মওকুফ ও স্বল্প সুদে ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করার দাবী জানানো হয়।
এ সময় জেলা কিন্ডার গার্টেন সমন্বয় পরিষদের উপদেষ্টা রেজাউল করিম জুয়েল, সদস্য সচিব মফিজুল আলম জোয়ার্দ্দার বক্তব্য রাখেন। সংবাদ সম্মেলনে জেলার বিভিন্ন উপজেলার কিন্ডার গার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি/সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
এজে
মন্তব্য করুন