ভোলায় ক্ষিপ্ত যাত্রীদের ফেরিতে হামলা
ভোলায় তিন ফেরিতে করে আসা আট শতাধিক যাত্রীকে প্রবেশ করতে না দিয়ে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। দুটি ফেরি লক্ষ্মীপুর মজুচৌধুরী ঘাটে ফিরে গেলেও ফেরি কুসুমকালি চার শতাধিক যাত্রী নিয়ে শুক্রবার রাত ১০টা পর্যন্ত মেঘনা নদীতে ভাসতে থাকে। একপর্যায়ে যাত্রীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ফেরিতে হামলা চালায়। ওই যাত্রীদের ভোলার ইলিশা ঘাটে নামিয়ে দিতে বাধ্য হন ফেরির স্টাফরা। ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে আসা এসব বহিরাগত যাত্রীদের নাম ঠিকানাও রাখতে পারে নি পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। কেবল হ্যান্ড মাইকে বাড়ি গিয়ে এদের হোম-কোয়ারেন্টিন থাকার ঘোষণা দেয়া হয়।
গতকাল সন্ধ্যায় প্রথম দুটি ফেরি কনকচাপা ও ফেরি কাবেরী মালবাহী ট্রাকের পাশাপাশি চার শতাধিক যাত্রী নিয়ে ইলিশা ঘাটে আসলে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ওইসব যাত্রীদের নামতে দেয় নি পুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা। মালবাহী ট্রাক নামানোর পর ওই যাত্রীসহ ফেরি ফিরে যেতে বাধ্য করা হয়।
সন্ধ্যার পর চারশ’ যাত্রী নিয়ে আসে ফেরি কুসুমকলি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেস্টুনির মুখে ওই ফেরিকে ঘাটে ভিড়তে দেয়া হয়নি। রাত ১০ পর্যন্ত এটি মাঝ নদীতে ভাসতে থাকে।
ইলিশা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই রতন কুমার শীল জানান, প্রশাসনের অনুমতিতেই রাতে ওই ফেরি ঘাটে ভিড়তে যাত্রীরা সকল বাধা উপেক্ষা করে নেমে যায়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, ভোলায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলায় বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। এই মুহূর্তে বহিরাগতরা প্রবেশ করলেই নতুন করে ঝুঁকি বাড়বে। তাই এদের প্রবেশ করতে না দিয়ে ফিরিয়ে দেয়া হয়ে ছিল।
জেবি
মন্তব্য করুন