ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে হতদরিদ্রদের চাল আত্মসাতের অভিযোগ
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে কর্মহীন হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ত্রাণের চাল ভিন্ন পন্থায় মেরে খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
নড়াইল সদরের শাহাবাদ ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মো. মনির শিকদারের বিরুদ্ধে এলাকার একাধিক হতদরিদ্র পরিবার এ অভিযোগ করেন।
একই পরিবারের মধ্যে ও দলীয় ব্যক্তিদের দিয়ে একাধিকবার চাল তুলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তিনি নিজের পরিবারের একই ব্যক্তির নামে ও নিজের দলীয় পছন্দের ব্যাক্তিদের বিভিন্ন পর্বে একাধিকবার চাল দিয়েছেন। তালিকায় দেখা প্রথম পর্বের তালিকায় ১৯৫ ক্রমিকে আনোয়ারা বেগম স্বামী জাহাঙ্গীর তৃতীয় পর্বে ২৭০ ক্রমিকে রহমত শেখ পিতা জাগাঙ্গীর শেখ, তৃতীয় পর্বে মহব্বত শেখ পিতা জাহাঙ্গীর শেখ, চতুর্থ পর্বে আবারও আনোয়ারা নামে চাল দিয়েছেন স্বামীর নাম বাদ রেখে বাবার নাম ব্যবহার করে। একই ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় পর্বে তিনি নিজের ভাতিজা রাকিব শিকদারকে ২৬২ ও ২৮২ ক্রমিকে, ময়েনখোলা গ্রামের সোহেল শেখ পিতা শহিদুল্লাহ ২৯০ নম্বর ক্রমিকে পরে একই ব্যক্তি ৩৩৯ নম্বর ক্রমিকে একই অন্যভুক্ত ধোন্ধা গ্রামে মা নাজমা বেগম চতুর্থ পর্বে ক্রমিক নম্বর ৩০ পঞ্চম পর্বে ছেলে রহমতুল্লাহ অবিবাহিত সে তালিকাভুক্ত করে চাল দিযেছেন। চতুর্থ পর্বে ৪০ ক্রমিকে রোমেছা খাতুন ৪৩ ক্রমিকে মেয়ে শিল্পী খাতুন একই অন্নভুক্ত দুজনকেই চাল দেয়া হয়। আবার একই ব্যক্তি ফরিদা নামের একজনকে চতুর্থ পর্বে তিন নম্বর ক্রমিকে এবং ৪৮ নম্বর ক্রমিকে চাল দেয়া হয়েছে। ৪র্থ পর্বে ১৪ এবং ১৫ ক্রমিকে আফজাল ও মিলনকে চাল দেয়া হয়েছে দু’জই একই অন্নভুক্ত।
শুধুমাত্র মেম্বারের দল না করার কারণে অনেকে তালিকায় নাম থাকা সত্যেও চাউল দেয়া হয়নি। ধোন্ধা গ্রামের চতুর্থ পর্বে ২৪ ক্রমিকে ইসমাইল সরদার, ৩১৬ ক্রমিকে পঞ্চম পর্বে আলতাফ ফকির চাল পাইনি ।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এলাকার ভূমিহীন দিনমুজুর দিন আনা দিন খাওয়া মানুষদেরও চাউল দেয়া হয়নি ।
এ সকল অভিযোগের বিষয়ে মেম্বার মো. মনির শিকদারের কাছে জানতে চাইলে ভুল ত্রটির কথা স্বীকার করে তিনি বলেন আগামীতে এ রকম হবে না। ভুলবসত এ রকম হয়ে থাকতে পারে। হতদরিদ্র যারা এখনো চাইল পায়নি আগামীতে পর্যায়ক্রমে তারা পাবে।
শাহাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. দোলোয়ার হোসেন পান্না বলেন, আমি একাধিকবার সকল মেম্বারকে গরিবের চাল দেয়ার ব্যাপারে সর্তক করেছি তারপরও কেউ করে থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে নড়াইল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা সেলিম বলেন, এ ধরনের অপরাধ কেউ করলে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেবি
মন্তব্য করুন