• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ফুটওভার ব্রিজ নয়, যেনো ময়লার ‘ভাগাড়’

শানে আলম সজল

  ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১১:৪২

দুর্ঘটনা এড়াতে ফুটওভার ব্রিজ রাস্তা পারাপারের এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। কিন্তু চট্টগ্রামের নিউমার্কেট ও স্টেশন রোড এলাকায় ওভার ব্রিজ থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে এগুলোর বেহালদশা। ওভারব্রিজের প্রবেশপথ দখল করে বসে আছে হকার। আর ফুটওভার ব্রিজের উপর পরিণত হয়েছে ময়লা আবর্জনার ভাগারে।

এজন্য ব্যবহার করতে পারছে না পথচারীরা। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার করতে হচ্ছে তাদের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় চট্টগ্রাম নগরীর এ দু’টি ফুটওভার ব্রিজ দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করতে পারছে না পথচারীরা। ফুট ওভার ব্রিজগুলোর প্রবেশ পথে রাখা হয়েছে হকারদের মালামাল। ফুটওভার ব্রিজের উপরে সবসময় ময়লা ও দূর্গন্ধ লেগে থাকে। রাতের বেলায় এগুলো দখলে থাকে মাদকসেবীদের।

ফলে বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফুটওভারের নিচ দিয়ে রাস্তা পারাপার হতে হয়ে সাধারণ মানুষকে।

সাধারণ পথচারী মো. হেলাল আরটিভি অনলাইনকে জানান, ফুটওভার থাকার পরও তারা ফুটওভারে ওঠার প্রবেশ পথ পাচ্ছে না। ওপরে যে ময়লা ফুটওভার ব্যবহার করা যাচ্ছেনা। তাই ঝুকি নিয়ে পথ পার হতে হয়।

মিউনিসিপল মডেল স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র সজিব বলেন, ‘ময়লা আবর্জনা কারণে এবং ওভার ব্রিজের প্রবেশ পথ হকাররা দখল করে নিয়েছে। তাই আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার করে স্কুলে আসা যাওয়া করি।’

এতে কারো কোনো মাথা ব্যথা নেই এ নিয়ে । অভিযোগ আছে পুলিশকে ম্যানেজ করে এখানে ব্যবসা করছে হকররা।

দোকানদাররা আরটিভি অনলাইনকে জানায়, পুলিশকে ম্যানেজ করে এখানে ব্যবসা করছে হকররা।ফুটওভার ব্রিজের দোকানের মালামাল রাখতে তাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। পুলিশ একটু সমস্যা করে। তবে সব ম্যানেজ হয়ে যায়।

চট্টগ্রাম মহানগরে যে কয়টি ফুট ওবার ব্রিজ রয়েছে বন্দরের একটি ছাড়া সবগুলোর একই অবস্থা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পথচারী রাস্তা পারাপার হচ্ছে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন আরটিভি অনলাইনকে বলেন, জাইকা’র আর্থিক সহায়তায় নগরীর কোতোয়ালীর মোড় থেকে সিডিএ হয়ে পুরোনো বিমানবন্দর পর্যন্ত ওভারপাস হচ্ছে। এগুলোর জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। ওভারপাসগুলো বাস্তবায়নের পর ফুটওভারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

মেয়র আরো বলেন, অপরিকল্পিত কোনো কাজ করার পক্ষপাতি না। আগে যেটা হয়ে গেছে সেগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা সমালোচনা করতে চাই না।

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে পুরো শহরকে নিয়ে পরিকল্পিত একটা নগরায়ন গড়ার লক্ষ্য নিয়ে প্লানিং ডিপার্টমেন্ট কাজ করছে।সেই প্লানিং ডিপার্টমেনট যে সিদ্ধান্ত দেবে সেভাবে এগুবো।’

জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh