সন্ধ্যা ৬টার পর বের হলেই আইনানুগ ব্যবস্থা
দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা কিংবা এলাকা ভিত্তিক লক-ডাউন কার্যক্রম শুরু হয়েছে বেশ কদিন আগ থেকেই। তবুও অনেকে মানছেন না। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর হলেও যেন থামিয়ে রাখা কঠিন।
এরমধ্যেই দ্রুত গতিতে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত আর মৃতের সংখ্যা। বেড়েছে সাধারণ ছুটিও। বলা যায় অঘোষিত লক-ডাউন চলছে সারাদেশে।
মুল সড়কগুলোতে লোকজনের চলাচল থামানো গেলেও পাড়া, মহল্লা, অলিতে-গলিতে লোকজনের আনাগোনা কমেনি। তাই আজ থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, সন্ধ্যা ৬টার পর ঘর থেকে বের হলেই নেয়া হবে আইনি ব্যবস্থা।দিনের বেলাতেও যাওয়া যাবে না এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে, জরুরি পরিষেবার (বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট ইত্যাদি ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা প্রযোজ্য হবে না।
‘কৃষিপণ্য, সার, কীটনাশক, জ্বালানি, সংবাদপত্র, খাদ্য, শিল্প পণ্য, চিকিৎসা সরঞ্জামাদি, জরুরি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন এবং কাঁচা বাজার, খাবার, ওষুধের দোকান ও হাসপাতাল এ ছুটির আওতার বাইরে থাকবে। জরুরি প্রয়োজনে অফিস খোলা রাখা যাবে জানিয়ে ছুটির আদেশে বলা হয়েছে, প্রয়োজনে ওষুধ-শিল্প, উৎপাদন ও রপ্তানি মুখী শিল্প কারখানা চালু রাখতে পারবে বলে আদেশ বলা হয়েছে।
মানুষের জীবন জীবিকার স্বার্থে রিকশা-ভ্যানসহ যানবাহন, রেল, বাস সার্ভিস পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে। জনগণের প্রয়োজন বিবেচনায় ছুটি কালীন বাংলাদেশ ব্যাংক সীমিত আকারে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে অনুরোধ করা হয়েছে যেন সবাই ঘরে থাকে এবং সন্ধ্যা ৬টার পর ঘর থেকে না বের হতে।
উল্লেখ্য, সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ-নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) থেকে জানানো সর্বশেষে তথ্য অনুযায়ী সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১,১৮৪জনকে পরীক্ষা করে নতুন আক্রান্ত হয়েছে ৯৪ জন আর মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের।
এমআর/এমকে
মন্তব্য করুন