সামাজিক দূরত্বের আইন মানছে না শরীয়তপুরের মানুষ
করোনাভাইরাসকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শরীয়তপুর জেলা সদরে মানুষ প্রকাশ্যে বাজারে সমাগম করছে। তারা কোনও স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। এদের বেশির ভাগ লোকজনের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাতো দূরের কথা অনেকেই মুখে মাস্ক পরা নেই। প্রকাশ্যে বাজারে দাঁড়িয়ে খাচ্ছে। একজন অন্যজনের সঙ্গে কাছাকাছি ঘেঁষে দাঁড়িয়ে রিলিফ অথবা ১০ টাকা কেজির চাল সংগ্রহ করছে।
তবে পালং বাজারে বৃহস্পতিবারের তোলা ছবিতে নারীদের উপস্থিতিই বেশি পাওয়া গেছে। তারা স্বামীদের বাড়ি রেখে নিজেরাই বাজারে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে চাল সংগ্রহ করছে।
তাদেরকে পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার বার সচেতন করার পরেও তারা প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে বাজারে ভিড় করছে।
এ দিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি সদর উপজেলার পালং ইউনিয়নের ধামসী গ্রামের মৃত সিকিম আলী মোড়লের বাড়ি ও তুলাসার ইউনিয়নের ২২ রশি গ্রামের আজিজ ছৈয়ালের বাড়ি লকডাউন করে রাখা হয়েছে। গত তিনদিন পূর্বে আজিজ ছৈয়ালের ছেলে বাচ্চু ছৈয়াল নারায়ণগঞ্জ থেকে বাড়ি আসে। যেহেতু নারায়ণগঞ্জ এলাকায় করোনা সংক্রমিত এলাকা। সেহেতু তার শরীরে করোনা ঝুঁকি থাকতে পারে। এছাড়া তিনদিন পূর্বে চিতলিয়া ইউনিয়নের কাশিপুর ও টুমচর এলাকার তিনটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মাহবুব রহমান বলেন, বারবার মানুষদের ঘরে থাকার জন্য অনুরোধ করছি। পুলিশ র্যাব ও সেনাবাহিনী তাদের ঘরে রাখতে দিনরাত কাজ করছে। তারপরেও তারা কথা মানছে না। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে। এছাড়া সদর উপজেলার পাঁচটি বাড়ি লকডাউন করে রাখা হয়েছে।
জেবি
মন্তব্য করুন