লকডাউনের আওতায় ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প
করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে কক্সবাজারকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত লকডাউনের আওতায় থাকবে কক্সবাজারের বাসিন্দারা।
পাশাপাশি উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পও লকডাউনের আওতায় থাকবে। এখন থেকে কেউ কক্সবাজারে প্রবেশ করতে ও বের হতে পারবে না। এ আদেশ অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে রামু সেনানিবাস সূত্রে জানা গেছে। তবে জরুরি পরিষেবা যেমন চিকিৎসা, খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ এই নির্দেশনার আওতামুক্ত থাকবে। অসামরিক প্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে কক্সবাজার প্রবেশ ও কক্সবাজার থেকে বের হওয়া ঠেকাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সেনাবাহিনী। ইতিমধ্যে কক্সবাজারের প্রধান সব প্রবেশ পথে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। পাশাপাশি সেনাটহল জোরদার করা হয়েছে সকল উপজেলায়। জরুরি সেবাদানকারী যানবাহন ব্যতীত সব ধরনের যানবাহনের চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আজ থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এমন নির্দেশনা বলবৎ থাকবে। আইন অমান্যকারীদের আর্থিক জরিমানা এমনকি প্রয়োজনে গ্রেপ্তার করা হবে বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
একই রকম পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায়। সেনাবাহিনী এবং পুলিশের অতিরিক্ত চেকপোস্ট স্থাপনের মাধ্যমে সীমিত করা হয়েছে সকল ধরনের যান চলাচল। অতি প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা, চিকিৎসা ও ত্রাণ সংক্রান্ত গাড়ি ব্যতীত কোনও ধরনের গাড়ি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রবেশ করতে দেয়া বা বের হতে দেয়া হচ্ছে না।
রামু সেনানিবাস সূত্রে জানা গেছে, আরআরসি কমিশনের স্টিকার বা লিখিত অনুমোদন ব্যতীত দেশি-বিদেশি এনজিও বা ব্যক্তিবর্গের ক্যাম্পে প্রবেশ বা বাহির সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, কক্সবাজার জেলায় মোট ৫১৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছে ৪৫২ জন। জেলায় এ পর্যন্ত ৭৬ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে তাদের সবার রেজাল্ট নেগেটিভ হয়েছে।
জেবি
মন্তব্য করুন