• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

কক্সবাজারে ২২৭ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত

কক্সবাজার প্রতিনিধি, আরটিভি অনলাইন

  ০৯ এপ্রিল ২০২০, ১০:৩২
Cox's Bazar, has a 222-bed isolation, unit ready, rtv online
ফাইল ছবি

কক্সবাজারের আট উপজেলায় পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধাসহ ২২৭ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত করা হয়েছে।

তার মধ্যে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবন, ৫০ শয্যাবিশিষ্ট চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবন, পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ শয্যাবিশিষ্ট, কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৭ শয্যাবিশিষ্ট, মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ শয্যা বিশিষ্ট, উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩০ শয্যাবিশিষ্ট টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩০ শয্যাবিশিষ্ট আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

সিভিল সার্জন ডাক্তার মাহবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বাথরুমের ব্যবস্থাসহ জেলায় ২২৭টি আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া বলপূর্বক বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য আটটি আন্তর্জাতিক সংস্থার ৬৬টি সেবা কেন্দ্র সমন্বয় করা হয়েছে।

এদিকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের সার্বিক স্বাস্থ্য বিষয় নিয়ে জরুরি বিভাগের প্রধান ডাক্তার শাহীন আব্দুর রহমান জানিয়েছেন, হাসপাতালসংলগ্ন পুরাতন মেডিকেল ক্যাম্পাসের ৪র্থ তলায় আইসোলেশন ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে। ওই ইউনিটে সব সময় একজন চিকিৎসক, চারজন সেবিকা, একজন ক্লিনার সেবকসহ নিরাপত্তাকর্মী প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এছাড়াও কক্সবাজারের ২৯টি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ১০৬টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এতে কর্মরত থাকবেন ১০৭ চিকিৎসক ৮০ জন সেবিকা। কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্রে জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর জন্য জরুরি চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত রয়েছে পৃথক ১১টি অ্যাম্বুলেন্স।

প্রসঙ্গত, কক্সবাজার জেলায় টেকনাফের তাবলিগ জামাতের ৪২জনসহ মোট ৬০৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছে ৪৫২ জন। আর ২৩ জনকে প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এছাড়া কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে স্থাপিত করোনা পরীক্ষার ল্যাবে পর্যন্ত ৭৬ জনের পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের সবার রেজাল্ট নেগেটিভ এসেছে।

এদিকে করোনা রোগী সন্দেহে কক্সবাজারের উখিয়ার একটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। উপজেলার জালিয়া পালং ইউনিয়নের পাইন্যাশিয়ার চরপাড়া থেকে আট এপ্রিল রাতে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় করোনাভাইরাস উপসর্গ থাকা আবদুশ শুক্কু (৬৫) নামের এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করেন ইউএনও নিকারুজ্জামান চৌধুরী। সে ওই এলাকার মৃত অছিয়র রহমানের ছেলে। উপজেলা প্রশাসন পরবর্তীতে ওই বাড়ি লকডাউন করে এবং উল্লেখিত ব্যক্তিকে প্রাতিষ্ঠানিক হোম কোয়রেন্টিনে স্থানান্তর করা হয়। অপরদিকে করোনা রোগী সন্দেহে কক্সবাজার শহরের বইল্লাপাড়ার এক মেডিকেল কলেজছাত্রকে আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মিয়ানমারের আরও ৫ বিজিপি সদস্য আশ্রয় নিলো বাংলাদেশে
ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল, নিরাপত্তা জোরদার
কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল, তিলধারণের ঠাঁই নেই
৫ মাসের শিশু চুরির ৫ দিন পর উদ্ধার, ২ রোহিঙ্গা গ্রেপ্তার
X
Fresh