করোনাসংক্রান্ত আইন না মানায় তিন লাখ টাকা জরিমানা আদায়
সরকারি আদেশ অমান্য করে বিনা কারণে ঘরের বাইরে ঘোরাঘুরি, জরুরিসেবা ও পণ্য ব্যতীত অপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা রাখা, অলিগলিতে বিভিন্ন স্থানে আড্ডাবাজি বসানো, বিনা প্রয়োজনে গাড়ি, মোটরবাইকে যাতায়াত করায় চট্টগ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মোট ৬৩টি মামলায় ৬৩ জন ব্যক্তি, দোকান ও প্রতিষ্ঠানকে তিন লাখ চৌদ্দ হাজার আটশ’ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সরকারি আদেশ ও রাষ্ট্রীয় আইন ভঙ্গ করেছেন তাদের সামর্থ্য বিবেচনায় রেখে যৌথ অভিযানে তাদের এ জরিমানা করা হয়।
গতকাল রোববার সকাল থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত এ অভিযান চলে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে সেনাবাহিনী পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসন চট্টগ্রাম ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে সকাল নয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত লোকসমাগম নিয়ন্ত্রণে, অযথা ঘোরাঘুরি নিয়ন্ত্রণে, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণে ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান পরিচালনা করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিরিন আক্তার জানান, যৌথ অভিযান শুরু হওয়ার পর হালিশহর এলাকায় বিভিন্ন দোকান ও প্রতিষ্ঠানকে নিষেধ করা পরও রাত সাড়ে আটটায় হালিশহরের স্বপ্ন সুপার স্টোর খোলা পাওয়া যায়। এজন্য হালিশহরের স্বপ্ন সুপার শপকে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ২৬৯,২৭০ ধারায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন।
অভিযানে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা খুলশী, চাঁন্দগাও, বায়েজিদ, পাঁচলাইশ, চকবাজার, পাহাড়তলি, আকবর শাহ, পতেঙ্গা, লালখান বাজার মোড়, জিইসি মোড়, বন্দর এলাকা, হালিশহর এলাকায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গণ সেনাবাহিনী ও পুলিশ সহযোগে চেকপোস্ট বসিয়ে জনগণের অবাধ চলাফেরা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে। এমনকি অলিগলিতে অভিযান হয়েছে আড্ডাবাজি থামাতে। বিনা কারণে অহেতুক যারা ঘরের বাইরে বের হয়েছেন তাদেরকে জরিমানা করা হয়েছে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে।
জেলা প্রশাসন চট্টগ্রাম সেনাবাহিনী ও সিএমপি সদস্যগণ এর সহযোগে চট্টগ্রাম মহানগরীব্যাপী আজকে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করেন। আজকের এ অভিযানের ফলে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ঘরের বাইরে লোকজনের যাতায়াতের প্রবণতা কমেছে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিরিন আক্তার।
জেবি
মন্তব্য করুন