পেট দেখিয়ে হোটেল শ্রমিকদের বিক্ষোভ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ও জনসমাগম এড়াতে জেলা প্রশাসন পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত জেলার পাঁচ উপজেলার সকল হাট- বাজার, হোটেল ও রেস্টুরেন্টসহ সব ধরনের দোকান -পাট বন্ধ ঘোষণা করেছে তবে ওষুধ ও খাদ্য সামগ্রীর দোকান খোলা রাখার রেখেছে প্রশাসন । গত ১৩ দিন ধরে হোটেল মালিকরা তাদের হোটেল বন্ধ রাখার কারণে বেকার হয়ে পড়েছে জেলার শত শত হোটেল শ্রমিক। ফলে কর্মহীন ও খাদ্য সামগ্রী না পেয়ে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে এসব হোটেল শ্রমিকরা।
আজ রোববার (৫ এপ্রিল) দুপুরে পঞ্চগড় শহরের নিরব-২ হোটেলের সামনে অনাহারে ও অর্ধাহারে দিন কাটানো এসব শ্রমিকরা খাদ্য সামগ্রী না পাওয়ায় পেট দেখিয়ো বিক্ষোভ করে।
পঞ্চগড় হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট শ্রমিক ইউনিয়ন জানায় শুধু শহরে প্রায় ৮৫০ জন হোটেল শ্রমিক রয়েছে এবং পাঁচ উপজেলায় রয়েছে আরও প্রায় কয়েক শতাধিক শ্রমিক। সব হোটেল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কাজ বন্ধ হয়ে যায় তাদের, ফলে বাসায় বেকার বসে থেকে মানবেতর জীবন যাপন করছে তারা। অথচ গেল ১৩ দিন ধরে হোটেল বন্ধ থাকায় তারা কোথাও থেকে কোনও প্রকার সহায়তা পায়নি বলে অভিযোগ তাদের।
এবিষয়ে হোটেল শ্রমিক আয়নুল হক জানান, ‘হামরা কি মানুষ নাহায়, হামার পেট কি খায় না, হামরা পরিবার নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছি । সবাইকে সরকার ও চেয়ারম্যান নেতারা খাবার দেয় সহযোগিতা করেছে হামারলাক কাহো সহযোগিতা করে না । হামরা করোনায় নাহায় না খায় মরিমো যদি হামার লার কোন ব্যবস্থা না করে।’
পঞ্চগড় হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, জানান, পঞ্চগড়ে অনেক হোটেল শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। আমরা কাজ করতে না পারায় মানবেতর জীবন যাপন করছি। আমাদের কেউ কোনও সহযোগিতা করছে না। আমরা যা কাছে যাচ্ছি তারাই অন্য কাউকে দেখায় দেয়। আমার এখন কার কাছে যাবো কোনও পথ না পেয়ে হোটেলে বসে আছি।
এসএস
মন্তব্য করুন