বরিশালে চাঁদা দাবি নিয়ে আ.লীগ-ছাত্রলীগ সংঘর্ষ, গ্রেপ্তার ৪

বরিশালে চাঁদা দাবি নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আর রোববার সকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারোয়ার।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে চাঁদা দাবিকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। খবর পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে যেয়ে পুলিশের সাত আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বরিশালের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরনদী সার্কেল) আব্দুর রব হাওলাদার।

জানা যায়, স্থানীয় আওয়ামী লীগকর্মী রাশেদুজ্জামানের কাছে গতকাল দুপুর ৩টার দিকে ছাত্রলীগ নেতা সুমন মাহমুদ মোবাইল ফোনে চাঁদা দাবি করে। এরপর বিকেলে সুমন ১০ থেকে ১২ জন ছাত্রলীগ কর্মীকে নিয়ে জোর করে রাশেদুজ্জামানের ভাড়া বাসায় ঢুকে তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা করে।

তবে, সুমন এই হামলার কথা অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, ‘পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গতকাল বিকেলে উপজেলার ছাত্রলীগ সভাপতি জুবায়ের ইসলাম ওরফে সান্টু ভূঁইয়ার সমর্থকরা আমার তিন অনুসারীর ওপর হামলা চালায়। এরপর তারা আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে আমাকে ও আমার মাকে আহত করে। এরপর আমার সমর্থকদের সঙ্গে সান্টুর সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়।’

এ বিষয়ে সান্টু ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি শুনেছি সুমন মাহমুদ চাঁদা দাবিতে আওয়ামী লীগকর্মী রাশেদুজ্জামানের ওপর হামলা চালায়। যা কিছু হয়েছে, তার প্রতিবাদেই হয়েছে।’

গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারোয়ার বলেন, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে সাত জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। উভয়পক্ষকে আসামি করে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ পর্যন্ত চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এজে