সাতক্ষীরায় করোনা উপসর্গ নিয়ে কলেজছাত্রের মৃত্যু

সাতক্ষীরার সদর উপজেলায় জ্বর, ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার ভোরে সদর উপজেলার বল্লী ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়।

এদিকে, তার মৃত্যুর পর এলাকা জুড়ে করোনাভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে, স্বাস্থ্যবিভাগ বলছে তার শরীরে করোনাভাইরাসের কোনও লক্ষণ পাওয়া যায়নি

ওই কলেজছাত্রের নাম হাসান আলী (২০)। তিনি ওই গ্রামের বাহারুল ইসলামের ছেলে ও ঝাউডাঙ্গা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

বল্লী ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের ছয় নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইরাদ আলী জানান, গেল ৬-৭ দিন ধরে ওই যুবকের গায়ে জ্বর, ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট ছিল।

তার মা রোজিনা খাতুন জানান, গায়ে জ্বর থাকায় সে দুর্বল হয়ে পড়ে। এতে সে তেমন খাওয়া-দাওয়া করতোনা। স্থানীয় গ্রাম্য ডাক্তার দেখিয়ে তাকে ওষুধ খাওয়ানো হয়। একপর্যায়ে শুক্রবার ভোরে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর সময় তার গলা দিয়ে রক্ত বের হয়।

ইউপি ইরাদ আলী আরও জানান, তার মৃত্যুর খবরে এলাকা জুড়ে করোনাভাইরাসের আতঙ্ক বিরাজ করছে। তার পরিবারের সদস্যরাও মরদেহ থেকে কিছুটা দূরে অবস্থান করছেন। ওই বাড়ির আশেপাশেও এখন কেউ আসছেন না। স্থানীয় গ্রাম পুলিশ দিয়ে বাড়িটি পাহারায় রাখা হয়েছে।

তবে, সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শওকত জানান, এ খবর পাওয়ার পর একটি মেডিকেল টিম সেখানে পাঠানো হয়েছিল। তারা তার শরীরে করোনাভাইরাসের লক্ষণ পাননি। তিনি আরও জানান, তার পরিবারের সদস্যরা রাজি থাকলে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য তার দেহের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরের কাছে পাঠানো হবে।

এদিকে, সাতক্ষীরায় গেল ২৪ ঘণ্টায় বিদেশফেরত আরও নতুন ৪৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনের আওতায় আনা হয়েছে। এ নিয়ে, এ পর্যন্ত মোট দুই হাজার ৮৯৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে আরও ৬৯৬ জনকে।

জেবি