ঠাকুরগাঁওয়ে করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে পাঁচজনকে রংপুরে প্রেরণ
ঠাকুরগাঁওয়ে করোনাভাইরাসে একই পরিবারের পাঁচজন আক্রান্ত হয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সন্দেহভাজনদের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।
তাদের প্রথমে অ্যাম্বুলেন্সে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে আনা হয়। কিন্তু ঠাকুরগাঁওয়ে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় তাদেরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদের মধ্যে একজন ঢাকায় রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন। গেল ১৩ মার্চ তিনি ঢাকা থেকে মাদারীপুর পিকনিকে গিয়েছিলেন।
সেখানে অনেক মানুষের সংস্পর্শে আসায় তিনি আক্রান্ত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পিকনিক থেকে ফেরার পরই তার জ্বর শুরু হয়। জ্বর নিয়ে কয়েকদিন আগে ট্রেনে করে ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে আসেন তিনি।
বাড়িতে আসার পর তার জ্বর বাড়তে থাকে, সেইসঙ্গে শুরু হয় শ্বাসকষ্ট ও পাতলা পায়খানা। একই সমস্যা দেখা দেয় তার স্ত্রী ও কন্যা শিশুর।
বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় চেয়ারম্যান ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে যোগাযোগ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজার রহমান সরকার ও সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. নাদিরুল আজিজ চপল বলেন, প্রথমে অসুস্থ তিনজনকে ও পরে দুইজনকে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে আনা হয়েছে। আমাদের চিকিৎসক দল তাদের ক্লিনিকালি পরীক্ষা করেছেন। ঢাকা আইইডিসিআর-এ যোগাযোগ করা হয়েছে।
রংপুর জেলায় তাদের একটি বিশেষজ্ঞ দল অবস্থান করছেন। তারা রোগীদের দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করবেন। পাঁচজন রোগীর মধ্যে একজনের শরীরে অক্সিজেনের স্বল্পতা রয়েছে বলে জানান ডা. নাদিরুল আজিজ চপল।
ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম ও সদর ইউএনও আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ওই এলাকার লোকজনকে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে।
জেবি
মন্তব্য করুন