• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

করোনা: স্থবির হিলি, শ্রমজীবী পরিবারে দুর্দশা

হিলি প্রতিনিধি, আরটিভি অনলাইন

  ২৯ মার্চ ২০২০, ১২:১৯
করোনা: স্থবির হিলি, শ্রমজীবী পরিবারে দুর্দশা

সারাদেশের ন্যায় দিনাজপুরের হিলিতেও করোনার প্রভাবে স্থবির হয়ে পড়েছে। জরুরি প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্রের দোকান ছাড়া লকডাউন করা হয়েছে গোটা উপজেলার সবকিছু। সবখানেই থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। খুব বেশি দরকার না হলে ঘর থেকে বের হচ্ছে না বিত্তবানরা। কিন্তু শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ পেটের দায়ে বাইরে বের হলেও কাজ পাচ্ছে না। ফলে তাদের পরিবারে নেমে এসেছে দৈন্যদশা।

সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী গেল বুধবার থেকে সকল হাটবাজারগুলোতে ওষুধ, মুদি ও কাঁচামাল বাদে সমস্ত দোকানপাট বন্ধ ঘোষণা করেছে হাকিমপুর উপজেলা প্রশাসন। যার কারণে লোকসমাগম একেবারেই কমে গেছে। ভারত থেকে স্থলবন্দরে মালামাল পরিবহনের ট্রাকগুলো বন্ধ রয়েছে। হিলি স্থলবন্দরের মালামাল ওঠানামার কাজে নিয়োজিত শতাধিক শ্রমিক প্রায় বেকার হয়ে পড়েছে। তাছাড়া বাজারঘাটে লোকজন কম থাকায় উপজেলার এক শতাধিক অটোভ্যান ও ইজিবাইক চালকও পড়েছেন বিপাকে।

হিলি স্থলবন্দরের কয়েকজন শ্রমিক জানান, গত চারদিন ধরে কাজ নেই। বন্দরের গাড়ি প্রবেশ করলে প্রতিদিন একেকজন শ্রমিক ৫০০-৬০০ টাকা ভাগে পেত। তাদের প্রত্যেকের সংসারে পাঁচ থেকে সাত জন লোক। এ অবস্থা চলতে থাকলে তাদের না খেয়ে মরতে হবে বলে আক্ষেপ করেন তারা।

অপরদিকে, হাকিমপুর উপজেলার আলীহাট ইউনিয়নের জিলবুনিয়া গ্রামের অটোভ্যান চালক মো. মিজান মোল্লা (২৮) ও চন্ডিপুর গ্রামের সোবাহান হাওলাদার (৪৮) জানান, আগে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা আয় হতো। করোনার প্রভাবে এখন ১০০ থেকে ১৫০ টাকাও হচ্ছে না।

একই উপজেলার বোয়ালদাড় ইউনিয়নের বানাইল পাড়ার ইজিবাইক চালক সোহাগ (২৭) জানান, অন্যান্য দিন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় হতো। আজ দুপুর পর্যন্ত মাত্র একশ টাকা আয় হয়েছে। করোনার ঝুঁকি নিয়েই অটো নিয়ে বের হয়েছি, কারণ সংসার চালাতে হবে। আমরা গরিব মানুষ কাজ না করলে ভাত জুটবে না।

এদিকে রহমান নামের এক দিনমুজুর জানান, সকাল থেকে কাজের সন্ধানে বের হয়েছি। এখন পর্যন্ত কোনও কাজ পাইনি। কাজ না করলে আমার সংসারে ভাত জুটে না।

হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুর রাফিউল আলম জানান, শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষকে সরকার মানবিক সহায়তা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ৮ মেট্রিক টন চাল এবং নগদ ৫০ হাজার টাকা সরকারিভাবে পেয়েছি। সেইজন্য ৩টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বারদের তালিকা কারর জন্য দায়িত্ব দিয়েছি। ইতোমধ্যে প্রায় ১ হাজার লোকের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতি জনকে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি মসুর ডাল এবং ৩ কেজি আলু দেয়ার জন্য প্যাকেট প্রস্তুত করা হচ্ছে। কিছু দিনের মধ্যে অসহায় মানুষদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হবে।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
করোনায় আরও একজনের মৃত্যু
আরও ৩৫ জনের করোনা শনাক্ত
করোনায় প্রাণ গেলো আরও ১ জনের, শনাক্ত ৪৯
আরও ৪৬ জনের শারীরে করোনা
X
Fresh