গাজীপুরে এখনও খোলা আছে পোশাক কারখানা
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলা ও এই ভাইরাসের বিস্তার রোধ করতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঘরে থাকার জন্য আহ্বান জানানো হলেও গাজীপুরে এখনও খোলা রয়েছে অনেক পোশাক কারখানা।
কর্মক্ষেত্রে তাদের খুব পাশাপাশি অবস্থান এবং গা ঘেঁষে চলাফেরা করায় তাদের ঝুঁকি রয়েছে।
অতিমাত্রায় ঝুঁকির কারণে অনেক ক্ষেত্রেই কাজ করতে চাচ্ছেন না শ্রমিকরা।
তবে জরুরি শিপমেন্টের জন্য বা কিছু কাজকর্ম গুছিয়ে রাখার জন্য এসব খোলা রাখা হয়েছে। দ্রুতই এগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে জানিয়েছেন কারখানা কর্তৃপক্ষ।
তবে কয়েকটি কারখানা চিকিৎসকদের জন্য পারসোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট পিপিইসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী তৈরির জন্য সীমিত আকারে খোলা রাখা হয়েছে।
নগরের বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকরা তাদের চাকরি বাঁচাতে ও জীবনের তাগিদে কারখানায় গিয়ে কাজে যোগ দিয়েছে। আবার কোনও কোনও কারখানায় শ্রমিকরা সকালে কারখানায় গেলেও বন্ধের দাবিতে তারা কাজে যোগ দেয়া থেকে বিরত থাকে।
শ্রমিকরা বলছেন, করোনা ভাইরাসের এই চরম সংকটের সময় তারা নিজের ও পরিবারের লোকজনের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কারখানায় কাজ করতে রাজি নন।
এদিকে কারখানা কর্তৃপক্ষ বলছেন, যেহেতু বন্ধের বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট কোনও নির্দেশনা নেই এবং এ বিষয়ে বিজিএমইএর কোনও সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত নেই তাই শিপমেন্টের মতো জরুরি প্রয়োজনে খোলা রাখতে হয়েছে। তবে তারাও সেগুলো বন্ধ করে দেবেন।
এরই মধ্যে পোশাক শ্রমিকদের জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন। তারপরও গাজীপুরের চান্দনা, ভোগরা, মালেকের বাড়ি, বাসন সড়ক, ডেগেরচালা, সাইনবোর্ডসহ বিভিন্ন এলাকায় পোশাক কারখানা খোলা রয়েছে।
এদিকে এলাকাবাসীও করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে কারখানাগুলো বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।
জেবি
মন্তব্য করুন