• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

করোনার প্রভাব বগুড়ার পাইকারি সবজির বাজারে, কৃষক দিশেহারা

বগুড়া প্রতিনিধি, আরটিভি অনলাইন

  ২৮ মার্চ ২০২০, ২১:০৫
করোনার প্রভাব বগুড়ার পাইকারি সবজির বাজারে, কৃষক দিশেহারা
ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের প্রভাবে সব কিছুতে স্থবিরতা দেখা দেওয়ায় বগুড়ায় সবজির বাজারেও চলছে ব্যাপক দরপতন। কৃষক হাটে সবজি বিক্রি করে উৎপাদন খরচ তো দুরের কথা ভ্যান ভাড়াই তুলতে পারছেন না। সব ধরনের সবজির দাম কম। আর মুলা কেউ টাকা দিয়ে কিনছেন না। ফলে কৃষক হাটে মুলা বিক্রি করতে না পেরে ফেলে দিয়ে চলে যাচ্ছেন।

শনিবার (২৮ মার্চ) সরেজমিনে বগুড়ার মহাস্থান হাট ঘুরে এসব দৃশ্য দেখা গেছে।

হাটে পর্যাপ্ত সবজি থাকলেও ক্রেতা একেবারেই কম। সবজি উৎপাদনের ক্ষেত্রে দেশের অন্যতম এলাকা বগুড়া। আর মহাস্থান হাট এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় পাইকারি সবজির হাট হিসেবে পরিচিত। এখান থেকে পাইকাররা রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিদিন শতাধিক ট্রাক সবজি নিয়ে যান। করোনাভাইরাসের কারণে এখন দেশব্যাপী চলছে হোম কোয়ারেন্টিন। তারই প্রভাব পড়েছে সবজির বাজারে।

মহাস্থান হাটে সবজি বিক্রি করতে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও ক্রেতার দেখা মিলছে না।

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মেঘা খর্দ গ্রামের কৃষক নুরুল ইসলাম নিজের জমিতে চাষ করা পাঁচ মণ বেগুন বিক্রি করতে এসেছেন মহাস্থান হাটে। সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত রোদে দাঁড়িয়ে আছেন ক্রেতার আশায়। কিন্তু এই চার ঘণ্টায় বিক্রি করতে পারেননি এক কেজি বেগুনও। একই অবস্থা গাবতলী উপজেলার দাড়াইল গ্রামের কৃষক আব্দুল কাফীর। তিনি নিয়ে এসেছেন ৯ মণ টমেটো। ৫ টাকা কেজি দরেও বিক্রি করতে পারছেন না কষ্টে ফলানো টমেটো।

মহাস্থান পাইকারি হাট ঘুরে আরও দেখা গেছে, কাঁচামরিচ ৬ টাকা কেজি, বেগুন ২ থেকে ৪ টাকা, পেঁয়াজ ২৫ থেকে ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা পিস, বাঁধাকপি ১ টাকা পিচ, করলা ২০ টাকা কেজি, লাউ ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা পিচ, গাজর ৮ টাকা কেজি, টমেটো ৫টাকা থেকে কেজি, সজনা ডাটা ১০০ টাকা কেজি, ঢেঁড়স ৩০ টাকা কেজি, পটল ৩০ টাকা কেজি, লাল শাক ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সবজি বিক্রি করতে আসা কৃষকরা জানান, বাইরের জেলার কোনও ব্যাপারী সবজি কিনতে না আসায় সবজির দাম দিন দিন কমে যাচ্ছে। অনেকের জমিতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বেগুন, টমেটো, মুলাসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি।

শিবগঞ্জ উপজেলার খামারপাড়া গ্রামের কৃষক আজাদুর রহমান বলেন, চৈত্র মাসে বগুড়া অঞ্চলের মানুষ মুলা খেতে চায় না। তবে চট্টগ্রাম ও সিলেটে এ সময় মুলার ব্যাপক চাহিদা থাকে। গতবছর চৈত্র মাসে ১১শ টাকা মণ দরে মুলা বিক্রি করেছিলেন। এ কারণে এবারও কয়েক বিঘা জমিতে মুলা চাষ করেছেন। কিন্তু, এবার করোনাভাইরাসের প্রভাবে মুলা বিক্রি করতে পারছেন না।

আজাদুর রহমান মুলা বিক্রি করতে পারলেও অনেকেই বিক্রি করতে না পেরে রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে বাড়ি ফিরছেন।

এদিকে পাইকারি বাজারে সবজির দাম একেবারে কম হলে শহরের খুচরা বাজারগুলোতে ৫ থেকে ৬ গুণ বেশি দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে। করোনাভাইরাসের প্রভাবে আমদানি কমের অজুহাতে তারা বেশি দামে সবজি বিক্রি করছেন।

এজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বিশ্ববাজারে কমলো জ্বালানি তেলের দাম
নাটোরে হিটস্ট্রোকে কৃষকের মৃত্যু
দেশের বাজারে আরও কমলো স্বর্ণের দাম 
রাজশাহীতে হিটস্ট্রোকে কৃষকের মৃত্যু  
X
Fresh