সাত টাকায় বিক্রি করেন তারা ২০ টাকার মাস্ক
ছোট বাচ্চাদের গেঞ্জি আর মেয়েদের প্লাজু বানানোর কাজ করতেন। আর এখন মাস্ক বানিয়ে তা কম মূল্যে বিক্রি করছেন টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার মহেড়া ইউনিয়নের আগছাওয়ালী গ্রামের রফিক-নাসরিন দম্পতি। করোনাভাইরাসের কারণে মাস্কের দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা এ কাজে হাত দিয়েছেন।
রফিক মিয়া জানান, গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় উৎপাদন ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করতেন তিনি। বছর দেড়েক আগে অবসরে যান। এরপর ১২টি মেশিন কিনে নিজের বাড়িতেই পোশাক কারখানা গড়ে তুলেন। করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকারি নির্দেশনায় তিনি তার কারখানা বন্ধ রেখেছেন। এই অবসরে তিনি ও তার স্ত্রী নাছরিন বেগম মাস্ক বানাচ্ছেন। যা কম মূল্যে সাধারণ মানুষসহ পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছেন।
তিনি আরও জানান, বাজারে মাস্কের সঙ্কট ও চড়া দামে মাস্ক বিক্রির কথা শুনে সংগ্রহে থাকা কাপড় দিয়ে এক সপ্তাহ আগে মাস্ক বানানো শুরু করেন। তার কাজে সহায়তা করছেন স্ত্রী নাসরিন। তারা দু'জন গড়ে প্রতিদিন ১০০টি মাস্ক বানাচ্ছেন। স্থানীয় বাজারে পাইকারি সাত টাকা ও খুচরা ১০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।
মাস্ক কিনতে আসা কড়াইল গ্রামের দুলাল হোসেন বলেন, বাইরে ২৫-৩০ টাকায় মাস্ক কিনতে হয়। এইখানে ১০ টাকায় কিনতে পারছি। এ মুহূর্তে আমি মনে করি এটাই দেশ প্রেম।
রফিক মিয়ার স্ত্রী বেগম বলেন, গার্মেন্টসে কতদিন কাম করছিলাম। তারপর বাদ দিছি। ওনি (স্বামী) মেশিন আনাতে অহন তার লগে কাজ করি। আমার ভালো লাগে।
রফিক মিয়া বলেন, মাস্ক বানানো আমাদের পেশা না। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে স্বামী-স্ত্রী দু'জনে প্রতিদিন ১০০ পিস কইর্যা বানাই। গ্রামের লোকজন আর দোকানদার আইসা নিয়া যান। আমি মাস্ক বানিয়ে এলাকার চাহিদা মিটাতে পারছি এইড্যা আমার কাছে গৌরবের মনে হইতেছে।
জেবি
মন্তব্য করুন