• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

অযথা ঘুরাঘুরি করলেই বাসায় ফোন, করে দেয়া হচ্ছে বাজার

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট, চট্টগ্রাম

  ২৮ মার্চ ২০২০, ১৩:৩১
অযথা ঘুরাঘুরি করলেই বাসায় ফোন, করে দেয়া হচ্ছে বাজার

মানুষকে ঘরমুখো করতে পুলিশের কড়াকড়ি প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে। কিছু পুলিশের অপেশাদারসুলভ আচরণ সমালোচনার খোরাক হয়েছে। তবে এর মধ্যেও ব্যতিক্রম নজির স্থাপন করলেন চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন। মানুষকে ঘরে থাকতে প্রচারণার পাশাপাশি ঘরের বাজারও করে দিচ্ছেন তিনি। এরপরও অযথা কেউ বাইরে ঘোরাফেরা করলে তার সামনেই অভিভাবকদের জবাবদিহিতা করতে হচ্ছে। ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগ প্রশংসা কুড়িয়েছে নগরবাসীর।

এ প্রসঙ্গে কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘করোনার আপাতত প্রতিষেধক ঘরে থাকা। আমরা সেই প্রতিষেধক কার্যকর করতে চাচ্ছি। তাই মানুষকে ঘরে রাখতে বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়েছি। ঘরের বাজারও আমরা করে দিচ্ছি। এ ব্যাপারে আমরা নগরবাসীর অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছি। তারা আমাদের সহযোগিতা করছেন।’

কোতোয়ালী থানা সূত্রে জানা যায়, মানুষকে ঘরে রাখতে প্রতিদিনই হ্যান্ড মাইক নিয়ে বের হন ওসি নিজেই। তিনি নিজেই মোড়ে মোড়ে মাইকিং করেন। সাম্প্রতিককালে তার মাইকিং করার এমন একটি ভিডিও ভাইরালও হয়। এর পাশাপাশি থানার ফোন নাম্বার সবস্থানেই দেয়া। কারও যেকোনো প্রয়োজনই বাসায় গিয়েই মিটিয়ে আসছেন এই থানার কর্মকর্তারা। প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষের বাজার তাদের বাসায় দিয়ে আসছেন তারা। হোম সার্ভিসের এই ধারণা প্রশংসা কুড়িয়েছে নগরবাসীর।

রেবেকা সুলতানা নামের এক গৃহিণী বলেন, ‘আমি প্রথমে এটা লোক দেখানো মনে করেছিলাম। কিন্তু ফোন করার সঙ্গে সঙ্গেই দেখি বাজার হাজির। এ ধরনের সেবা আগে শুধু শুনতাম ব্রিটেন, আমেরিকা করত, এখন আমাদের পুলিশরাই এটা করছে। খুবই গর্বের বিষয় এটি।’

তবে মানুষকে ঘরে রাখার সবচেয়ে আলোচিত হয়েছে ফোন থ্যারাপি। অন্যান্য পুলিশ যখন মারমুখী আচরণ করছে। তখন তিনি হাঁটলেন ভিন্নপথে। কাউকে ঘুরাঘুরি করতে দেখলেই প্রথমে কারণ জানতে চাওয়া হচ্ছে। কাজে বের হলে তাকে সহযোগিতা করা হচ্ছে। আর অযথা ঘুরাঘুরি করলেই সঙ্গে সঙ্গেই অভিভাবকদের কাছে ফোন করা হচ্ছে। করোনা ঝুঁকিতে সন্তান বাইরে ঘুরাঘুরির কারণ জানতে চাওয়া হচ্ছে। এই উদ্যোগ বেশ কার্যকর হিসেবে দেখা দিয়েছে। অভিভাবক মহলও ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন এই উদ্যোগকে। মানুষকে ঘরে রাখার ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগে খুশি সিনিয়র কর্মকর্তারাও।

এ বিষয়ে কোতোয়ালী থানার মিরিন্ডা লেইনের বাসিন্দা গৃহবধূ রেবেকা সুলতানা জানান, ‘এলাকার রাস্তায় বারবার মাইকিং হচ্ছিল, থানায় ফোন করে সহায়তা নিন। আমরা আপনার প্রয়োজনে চলে আসব। সাহস করে ফোন দিলাম থানায় বললাম, আমার স্বামী একজন ক্যাপ্টেন। তিনি সম্প্রতি জাহাজ ফেরায় কোয়ারেন্টিনে আছেন। লকডাউনের কারণে বের হতে পারছি না, কিন্তু আজ বাজার করা খুব প্রয়োজন। বিশ্বাস করুন মাত্র ৩০ মিনিটেই তারা আমাকে বাজার করে এনে দিয়েছেন।’

একই কথা বললেন রাজাপুকুর লেইন এলাকার বাসিন্দা আফসাপনা পারভীন। তিনি বলেন , কোতোয়ালী থানার সহায়তা চাইলে টিম কোতোয়ালী বাজার পৌঁছে দিয়ে তার বাসাতেই ।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
করোনায় আরও একজনের মৃত্যু
আরও ৩৫ জনের করোনা শনাক্ত
করোনায় প্রাণ গেলো আরও ১ জনের, শনাক্ত ৪৯
আরও ৪৬ জনের শারীরে করোনা
X
Fresh