লম্বা ছুটি পেয়েছেন তাই তারা বাড়ি যাচ্ছেন!
ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় রয়েছে পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে। বুধবার দুপুর থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত অবস্থানকালে পাটুরিয়া ঘাটে দেখা যায় ছোট-বড় নানা ধরনের গাড়িতে চড়ে রাজধানী ঢাকা থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছেন দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার যাত্রীরা।
বেলা চারটার দিকে পাটুরিয়া ঘাটে ফেরি পারের অপেক্ষায় থাকতে গেছে দুটি ট্রাকের সাড়ির পাশাপাশি একটি যাত্রীবাহী বাসের সাড়ি।
তিন শতাধিক গাড়ি ছিল এসব লাইনে। এছাড়া, ছোট গাড়ির আলাদা লাইনে অপেক্ষমাণ থাকতে দেখা গেছে কমপক্ষে দেড় শতাধিক গাড়ি।
গাড়ির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এই পথের যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা পাটুরিয়া ঘাটে আটকে থাকতে দেখা যায়। দেশের এই অবস্থার মধ্যে ঘরের ভেতর না থেকে ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরার ব্যাপারে জানতে চাইলে অনেকে বলেন, কাজের চাপে দীর্ঘদিন তারা বাড়িতে যেতে পারেননি। লম্বার ছুটি পাওয়াতে তারা সেই সেই সুযোগটি কেউ নিচ্ছেন বলে জানান।
এক যাত্রীকে প্রশ্ন করতেই ক্ষেপে উঠলেন। বললেন, ছুটি দেওয়ার আগেই গাড়ি চলাচল বন্ধ করলো না কেন। সরকারতো ঢাকা শহরকে ফাঁকা করতেই আড়ালে থেকে গাড়ি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেনি।
পাটুরিয়া ঘাটে দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা বললেন, গতকাল থেকে বিপুল পরিমাণ যাত্রী এই নৌপথ পাড়ি দিয়ে দেশের দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলে যাচ্ছেন। যে কারণে দীর্ঘদিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে সেই উদ্দেশ্য সফল হচ্ছে না।
এদিকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ নৌ-পরিবহন সংস্থা(বিআইডব্লিউটিসি)। কিন্তু বন্ধ ঘোষণার কিছুক্ষণ পরেই আবার সেই সিদ্ধান্ত থেকে সড়ে যায় সংস্থাটি।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) জিল্লুর রহমান আরটিভি অনলাইনকে বলেন, সব ধরণের যাত্রীবাহী গাড়ি চলাচল আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ থাকবে। কাজেই আগামীকাল থেকে শুধুমাত্র জরুরি ও পচনশীল পণ্যবাহী গাড়ি পারাপার করা হবে। তবে যাত্রীবাহী কোনও গাড়ি যদি ফেরিঘাটে আসে মানবিক কারণে সেগুলিতো পার করতেই হয়।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস আরটিভি অনলাইনকে বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী পচনশীল ও জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি ছাড়া কোনও ধরনের যাত্রীবাহী গাড়ি চলাচল করতে দেওয়া হবে না।
জেবি
মন্তব্য করুন