পুরো সখীপুর উপজেলাই হোম কোয়ারেন্টিনে
প্রবাসী অধ্যুষিত টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলাকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে এ হোম কোয়ারেন্টিন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
উপজেলার পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ আজ বুধবার সকাল থেকে হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছে। এ কারণে অন্য উপজেলার কোনও পরিবহন ও লোকজন সখীপুর উপজেলার ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে না। সেজন্য বুধবার সকাল থেকে সখীপুর ঢোকার সীমান্তের ২৩টি স্থানে সড়কে বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়েছে। ওই ২৩ স্থানে সার্বক্ষণিক পুলিশ ও গ্রাম পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। নিয়ন্ত্রণের চাদরে ঢাকা রয়েছে গোটা উপজেলা। তবে ওষুধ, কাঁচামাল ও মুদি দোকান খোলা রয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় চলতি মাসে ৬৪৭ জন প্রবাসী দেশে ফিরেছেন। এদের মধ্যে ৩২৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। বিদেশফেরত বহু প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টিন মানছেন না। তারা নিয়ম না মেনে অবাধে ঘোরাঘুরি করায় এ অঞ্চলে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি রয়েছে। এসব বিষয় বিবেচনা করে পুরো সখীপুর উপজেলাকেই হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনেককেই পাসপোর্টের ঠিকানায় পাওয়া যাচ্ছে না।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন আরটিভি অনলাইনকে বলেন, উপজেলার সব বাজার দোকান-পাট ও চলাফেরা বন্ধ থাকবে। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হবে না। অন্যদিকে অন্য উপজেলা থেকে কেউ যাতে সখীপুরে না ঢুকতে পারে সেজন্য ২৩টি সীমান্ত পয়েন্টে পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এছাড়াও সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়মিত টহল দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমাউল হুসনা লিজা আরটিভি অনলাইনকে বলেন, যেহেতু সখীপুর উপজেলাটি প্রবাসী অধ্যুষিত। এ কারণে উপজেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির জরুরি সভা করে সখীপুর উপজেলা যেন করোনাভাইরাস সংক্রমিত না হয় এজন্য পুরো উপজেলাকে কোয়ারেন্টিনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জেবি
মন্তব্য করুন