এখনো অবরুদ্ধ রুয়েট উপাচার্য
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) ‘৩৩ ক্রেডিট’ পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্য রফিকুল আলম বেগসহ মোট ১৬ জন শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। শনিবার রাত থেকে অবরুদ্ধ অবস্থা চলছে। রোববার সকাল সাড়ে নয়টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় অবরুদ্ধ অবস্থা চলছিল। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে তাঁর কক্ষের সামনে অবস্থান নেয়। তারা বলছেন-দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলবে। বেশ কিছু দিন ধরেই শিক্ষার্থীরা এই দাবি করে আসছিল।
জানা যায়, শিক্ষার্থীদের দাবি দাওয়া নিয়ে শনিবার বিকেল ৩টায় একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক আহ্বান করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ অধিকর্তা, বিভিন্ন বিভাগের সভাপতি ও শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে ১০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়ার কথা ছিলো। কিন্তু উপাচার্যসহ শিক্ষকরা উপাচার্যের কার্যালয়ে প্রবেশ করলে বৈঠকে অংশ না নিয়ে প্রায় ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী কার্যালয়ের দরজা বন্ধ করে দিয়ে শুয়ে পড়েন। পরে কোনো শিক্ষককেই তারা আর বাইরে বের হতে দেননি।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্রশাসন থেকে দাবি মেনে নেয়ার বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দেয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা মৌখিক আশ্বাসে বিশ্বাসী নই। আমাদেরকে লিখিতভাবে না জানানো পর্যন্ত আমরা শিক্ষকদের বের হতে দেবো না।
এদিকে, শনিবার পঞ্চম দিনের মতো ক্লাস বর্জন করে দুপুর থেকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা নিজেদের শরীর থেকে সিরিঞ্জ দিয়ে রক্ত নিয়ে রাস্তা ও প্রশাসন ভবনের সিঁড়িতে ন্যূনতম ৩৩ ক্রেডিট প্রথা বাতিলের দাবি জানান।
এর আগে আন্দোলন থামাতে ৩১ জানুয়ারি রুয়েট প্রশাসন ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের সব একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিতের ঘোষণা দেয়। পরের দিন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ৩৩ ক্রেডিট পদ্ধতির কারণে শিক্ষার্থীরা নানা সমস্যায় পড়বে। বিশেষ করে রুয়েটে ক্লাস-ল্যাবের সংকট থাকায় যারা ক্রেডিট অর্জন করতে পারবে না তাদের অন্য ব্যাচের সঙ্গে ক্লাস বা ল্যাবে থাকতে হবে। এছাড়া কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ বা অন্য কোনও সমস্যার কারণে পরীক্ষা দিতে না পারলে তার এক বছরের বেশি সময় ক্ষতি হয়।
এসএস
মন্তব্য করুন