পদ্মায় বরযাত্রীবাহী নৌকাডুবি: পাঁচ জনের লাশ উদ্ধার
রাজশাহী মহানগরীর শ্রীরামপুরে বৌভাত অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে পদ্মা নদীতে যাত্রীবাহী নৌকা ডুবির ঘটনায় বিকেল সোয়া ৪টা পর্যন্ত ৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো ছয়।
শনিবার (৫ মার্চ) সকালে চারঘাট স্লুইস গেট থেকে বিজিবি একটি লাশ উদ্ধার করে। মরদেহটি কনের চাচি। নাম মনি। দুপুর ১টার পর এখলাস (৪০) ও দুপুর আড়াইটার দিকে কনের দুলাভাই রতনের লাশ শ্রীরামপুর এলাকায় যেখানে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে তার আশেপাশে থেকে উদ্ধারকারী দল উদ্ধার করে। প্রায় একই জায়গা থেকে কনের চাচা শামিম ও তার মেয়ে রশ্নির লাশ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গতকাল নৌকাডুবির ঘটনায় উদ্ধারকৃত মরিয়ম (৬) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত কনেসহ নিখোঁজ রয়েছে ৫ জন।
রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আব্দুর রউফ জানান, পবা উপজেলার চরখানপুরে থেকে সন্ধ্যায় বৌভাত অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে শ্রীরামপুর এলাকায় পদ্মা নদীতে প্রবল স্রোতে ৪১ জন যাত্রী নিয়ে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে। তবে এদের মধ্যে বরসহ প্রায় ৩২ জন সাঁতরে পাড়ে উঠতে পারেন। মহানগরীর কর্নহার থানার ডাইংহাট এলাকায় মেয়ের বাড়ী থেকে বৌভাত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কনের আত্মীয় স্বজনরা সেখানে যান।
এদিকে রাজশাহীতে বৈরী আবহাওয়ার কারণে সকালের দিকে উদ্ধার তৎপরতা চালাতে বেগ পেতে হয়েছে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও বিজিবিকে। এদের সঙ্গে উদ্ধার তৎপরতায় যোগ দিয়েছে বিআইডাবলুটিএ’র ৫ সদস্যের একটি দল।
নিখোঁজ কনের নাম সুইটি খাতুন পুর্ণি (২০)। তিনি পবা উপজেলার ডাইঙ্গেরহাট গ্রামের শাহীন আলীর মেয়ে। আর বরের নাম আসাদুজ্জামান রুমন (২৫)। তিনি চরখানপুরের মৃত ইনছার আলীর ছেলে। বৃহস্পতিবার তাদের বিয়ে হয়। শুক্রবার বৌভাতের অনুষ্ঠান হয়।
এ ঘটনায় গতকাল রাতে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। আজ সকালে রাজশাহী- ৩ আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এদিকে, ঘটনার কারণ ও ক্ষয়-ক্ষতি নিরূপণের জন্য ৭ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসক। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে নিহতদের দাফনের জন্য তাদের আত্মীয়দের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হচ্ছে বলে জানান অতিরিক্ত ম্যাজিট্রেট আবু আসলাম।
এজে
মন্তব্য করুন