স্বামীর নির্যাতনে চোখের দৃষ্টি হারাতে বসেছেন হালিমা
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় মদ্যপ স্বামীর মারপিট ও নির্যাতনে চোখের দৃষ্টি হারাতে বসেছেন এক গৃহবধূ।
নির্যাতিতা গৃহবধূ হালিমা বেগম জানান, উপজেলার জোয়ারী ময়মনসিংহপাড়া এলাকার আব্দুলের ছেলে সুরুজ মিয়ার সঙ্গে ১২ বছর আগে বিয়ে হয় তার। তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। পার্শ্ববর্তী এক বিবাহিত নারীর সঙ্গে পরকীয়া আছে সুরুজের।
প্রতিদিনই সেখানে সময় কাটিয়ে নেশা করে বাড়ি ফেরে সে। নেশা করে এসে তাকে বেদম মারপিট করে সুরুজ। গতকাল শুক্রবার রাতেও খাবার দিতে গেলে হালিমাকে ব্যাপক মারপিট ও নির্যাতন করে হালিম। এ সময় তাদের কন্যা সন্তানটি কান্নাকাটি করলে তার টুটি চেপে ধরে ছুড়ে ফেলে দিয়ে সুরুজ ঘর থেকে বের হয়ে যায়। তাদের কান্না কাটিতে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে হালিমা ও তার মেয়েকে উদ্ধার করে। এই নির্যাতনে তার ডান চোখ নষ্টের পথে। পরে সে তার এক স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে হালিমাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী সুরুজ পলাতক রয়েছে।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
জেবি
মন্তব্য করুন