• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

মেয়েশিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে দূরে রাখতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ 

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২১:৫০
মেয়েশিশু, কারিগরি প্রশিক্ষণ, সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ
কারিগরি প্রশিক্ষণ পাওয়া শিক্ষার্থীরা।

মেয়েশিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে দূরে রাখতে কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি করে সেলাই মেশিন ও বিউটি পারলারের সরঞ্জাম উপহার দিয়েছে বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় রাজধানীর হাজারীবাগে ২২ নং ঢাকা দক্ষিণ ওয়ার্ড কমিশনার এর কার্যালয়ে ১৫-১৮ বছর বয়সী ৩৫ জন মেয়ে শিশুর হাতে সেলাই মেশিন ও বিউটি পার্লারের সরঞ্জাম উপহার দেয় সংস্থাটি।

প্রধান অতিথি হিসেবে প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে সনদ ও ব্যবসা সরঞ্জাম তুলে দেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও জয়িতা ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুর রউফ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আব্দুর রউফ বলেন, এদেশে এখনও কিছু শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত আছে। অসেচতনতার কারণে সন্তানদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা নিম্নবিত্ত পরিবারের জন্য অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে। এছাড়াও দারিদ্র, তথ্য, যোগাযোগ এবং সুযোগের অভাবেও অনেক বাবা মা শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত করেন। অভিভাবকদের জন্য আয়ের সুযোগ করে দিয়ে এবং কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে শিশুদের দূরে রাখা সম্ভব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ধানমন্ডি ও হাজারীবাগ থানার যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো: নওশের আলী, ২২ নং ওয়ার্ড কমিশনার হাজী তারিকুল ইসলাম সজিব, ১৪ নং ওয়ার্ড কমিশনার হাজী ইলিয়াছুর রহমান বাবুল, ওয়ার্ল্ড ভিশনের আরবান প্রোগ্রাম ক্লাস্টার ম্যানেজার লোটাস চিসিম, সরঞ্জাম বিতরণ অনুষ্ঠানে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা ছাড়াও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ হাজারীবাগ এরিয়ার প্রোগ্রাম ম্যানেজার রনেট লিও গমেজ।

ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ শিশুশ্রম নিরোধে বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি কাজ করছে এবং প্রতিবছর নিম্নবিত্ত পরিবারের শিশু ও অভিভাবকদের প্রশিক্ষণে মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি করে মূলধারার কর্মক্ষেত্রে যুক্ত হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।

প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা আরটিভি অনলাইনকে জানায়, পারিবারিক আর্থিক অনটনের কারণে তাদের শ্রমের সাথে বাধ্যতামূলক যুক্ততা ছিল। যেহেতু তাদের আয় তুলনামূলক আগের চেয়ে বেড়েছে, তাই তারা উপার্জনের পাশাপাশি নিজের উপার্জনে পড়াশুনা শুরু করবে।

উল্লেখ্য, ৬ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ওয়ার্ল্ড ভিশন এর এই শিশুশ্রম নিরসন প্রকল্পে ১ বছর মেয়াদী অ-প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থা চলমান রয়েছে, যার মূল লক্ষ্য প্রশিক্ষণার্থীদের ১ বছর পর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করা।

জিএ

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
৫০ হাজার তরুণের কারিগরি প্রশিক্ষণ ও সাফল্য বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
X
Fresh