সহকর্মীকে আটকে রেখে পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণ

সাভারের আশুলিয়ার একটি তৈরি পোশাক কারখানা থেকে ফেরার পথে এক নারী পোশাক শ্রমিককে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। ধর্ষণের শিকার ওই নারী শ্রমিক থানায় মামলা করেছেন। তবে পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত বখাটে যুবক ও ধর্ষণে সহায়তাকারীরা।

গেলো বুধবার সন্ধ্যায় আশুলিয়ার গোরাট এলাকায় রাহিল মেম্বারের ইটভাটায় ওই নারী শ্রমিককে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ধর্ষণের শিকার নারীর।

অভিযুক্ত ধর্ষক রানা মিয়া (২৩) আশুলিয়ার গোরাট এলাকার আনা মিয়ার ছেলে। এর আগেও তার বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।

ধর্ষিতার অভিযোগের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গেলো বুধবার সন্ধ্যায় গোরাট এলাকার ডেবনিয়ার এ্যাপারেলস কারখানার সুইং অপারেটর পদে কর্মরত ওই নারী শ্রমিক তার এক সহকর্মীর সঙ্গে বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে রাহিল মেম্বারের ইটভাটার সামনে বখাটে রানা ও তার দুই সঙ্গী তাদের পথরোধ করে। পরে তাদের জোরপূর্বক ইটভাটার ভেতরে ধরে নিয়ে যায় বখাটেরা। এ সময় ইটভাটায় পূর্বে থেকে অবস্থানরত অজ্ঞাত আরও তিন বখাটে ওই নারী শ্রমিকের সহকর্মীকে দূরে নিয়ে মারতে থাকে।অপরদিকে বখাটে রানা তার অন্য দুই সঙ্গীর সহায়তায় ওই নারী শ্রমিককে ধর্ষণ করে। এ সময় ভুক্তভোগীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন আসলে বখাটে রানা ও তার পাঁচ সঙ্গী পালিয়ে যায়। পরে রাতেই ভুক্তভোগী নারী আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাহিদ হাসান আরটিভি অনলাইনকে জানান, ভুক্তভোগী ওই নারী পোশাক শ্রমিকের অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষিতাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

জেবি