• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

শিক্ষকের বেতের আঘাতে ছাত্রের দাঁত ভেঙে তিন খণ্ড

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি, আরটিভি অনলাইন

  ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৩:৩০
দাঁত ছাত্র শিক্ষক
ফাইল ছবি

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনায় বেতের আঘাতে এক শিক্ষার্থীর দুইটি দাঁত ভেঙে ফেলার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক জহুরুল ইসলাম জাবের বিএসসিকে আটক করেছে গোপালপুর থানা পুলিশ।

গতকাল সোমবার দুপুরে হেমনগর শশীমুখী উচ্চবিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন সমাপ্ত করার পর হেমনগর তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ জহুরুল ইসলাম জাবের বিএসসিকে আটক করে।

তিনি মধুপুর উপজেলার বাসিন্দা এবং গোপালপুর উপজেলার নগদা শিমলা ইউনিয়নের সৈয়দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

আঘাত পাওয়া শিক্ষার্থীর নাম বিদ্যুৎ মিয়া। তিনি উপজেলার নগদা শিমলা ইউনিয়নের সৈয়দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বিদ্যুৎ একই এলাকার জামাল হোসেনের ছেলে। বর্তমানে ওই শিক্ষার্থী গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বিদ্যুৎ জানায়, গেল শনিবার একই শ্রেণির এক ছাত্রীর শরীরে বইয়ের স্পর্শ লাগার অভিযোগে শিক্ষক জাবের তাকে বেত্রাঘাত করেন। একপর্যায়ে বেতের আঘাত মুখে লাগলে নিচের পাটির দুটি দাঁত ভেঙে তিন খণ্ড হয়ে যায় এবং প্রচুর রক্তপাত হয়।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক সেলিম রেজা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে আরটিভি অনলাইনকে জানান, বিদ্যুৎ একজন দিনমজুরের ছেলে। ওই দিন আহত বিদ্যুৎকে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে পরদিন রোববার গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সোমবার সকালে বিদ্যুতের বাবা জামাল হোসেন গোপালপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে গোপালপুর থানায় নিয়ে আসে।

এ বিষয়ে বিদ্যুতের বাবা জামাল হোসেন আরটিভি অনলাইনকে জানান, আমার ছেলে বিদ্যুৎ জাবেদ বিএসসির কাছে একসময় প্রাইভেট পড়তো। সে সময়ের ৫০০ টাকা তিনি পেতেন যা অভাবের কারণে পরিশোধ করা হয়ে উঠেনি। আমার মনে হয় সেই ক্ষোভ থেকে তিনি আমার ছেলেকে আঘাত করে দুইটি দাঁত ভেঙে ফেলেছেন। আমার ছোট বাচ্চাটি খুব কষ্ট পাচ্ছে।

গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান আরটিভি অনলাইনকে জানান, আহত ছাত্রের বাবার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষক জহিরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিকাশ বিশ্বাস আরটিভি অনলাইনকে জানান, শিক্ষার্থীদের মানসিক বা শারীরিকভাবে শাস্তি দেয়ার কোনও নিয়ম নেই। ঘটনার সত্যতা মিললে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নিয়োগ পরীক্ষায় কানে গোপন ডিভাইস, ভাই-বোন আটক
‘জুনের মধ্যে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ’
ভিকারুননিসায় আরও ৩৬ ছাত্রীর ভর্তি জালিয়াতির তথ্য ফাঁস
‘যত জঙ্গি গ্রেপ্তার করেছি, একজনও মাদরাসার ছাত্র নন’
X
Fresh