• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

ট্রেনের কেবিনে ছাত্রীর সঙ্গে অধ্যক্ষের অসামাজিক কার্যকলাপ

জামালপুর প্রতিনিধি, আরটিভি অনলাইন

  ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৭:৪৯
ট্রেন অধ্যক্ষ ছাত্রী
অধ্যক্ষ আব্দুস সালাম চৌধুরী

আন্তঃনগর তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের কেবিনের একটি কামরায় অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার জেজেকেএম গার্লস উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আব্দুস সালাম চৌধুরী ও অনার্সপড়ুয়া এক ছাত্রীকে আটক করেছে জামালপুর রেলওয়ে থানা পুলিশ।

গতকাল রোববার দুপুরে ট্রেনটি জামালপুর রেল স্টেশন ছাড়ার কিছুক্ষণ পর এ ঘটনা ঘটে।

তবে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ছাত্রী কোনও অভিযোগ না করলেও রেলওয়ের আইনভঙ্গ করার অপরাধে দুজনকেই আসামি করে রেলওয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের হবে বলে জানায় পুলিশ।

তবে সোমবার ভোরে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।

প্রত্যক্ষদর্শী ও রেলওয়ে থানা সূত্র জানান, ছাত্রীর বাড়ি জেলার ইসলামপুর উপজেলার গাঁওকুড়া গ্রামে। জামালপুর শহরের একটি সরকারি কলেজে পদার্থবিদ্যায় অনার্স শেষ বর্ষের পরীক্ষার্থী সে। অধ্যক্ষ আব্দুস সালাম চৌধুরীর প্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার সুবাদে পূর্ব পরিচিত ছিল ওই ছাত্রী। রোববার বেলা ১২টার দিকে ইসলামপুরে যাওয়ার উদ্দেশে জামালপুর রেলস্টেশন থেকে ওই ছাত্রীকে সঙ্গে নিয়ে তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠেন অধ্যক্ষ। তিনি ট্রেনটির কেবিন কোচের একটি কামরা বুকিং করে দু’জনের জন্যই টিকিট কাটেন। ট্রেনটি ১২টা ৮ মিনিটে জামালপুর রেলস্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর ওই কামরায় অধ্যক্ষকে ওই ছাত্রীর সঙ্গে অসামাজিক কার্যকলাপরত অবস্থায় দেখতে পায় কয়েকজন যাত্রী। ওই যাত্রীরা দ্রুত ট্রেনে কর্তব্যরত রেলওয়ের জিআরপি পুলিশ সদস্যদের ঘটনাটি জানান।

খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা অধ্যক্ষ ও ওই ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে জামালপুর রেলওয়ে থানার পুলিশ। পরে রেলওয়ের জামালপুর ওসিকে বিষয়টি জানান। ওসির নির্দেশে জিআরপি পুলিশ আটক দুজনকে প্রথমে ট্রেনটির শেষ গন্তব্যস্থল দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশনে নামিয়ে রেলওয়ের জিআরপি পুলিশ ফাঁড়িতে আটক রাখে। পরে ফিরতি ঢাকামুখী তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনেই জামালপুর রেলওয়ে থানায় নিয়ে আসা হয় তাদেরকে। বিকেল চারটার দিকে তাদেরকে ট্রেন থেকে নামিয়ে জামালপুর রেলওয়ে থানায় ঢুকানোর সময় শত শত উৎসুক জনতা ভিড় করেন। অধ্যক্ষ আব্দুস সালাম চৌধুরী বিবাহিত এবং জামালপুর শহরের বেলটিয়া এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে।

ওই ট্রেনে কর্তব্যরত জিআরপি পুলিশ সদস্য আব্দুল মান্নান বলেন, ‘খবর পেয়ে কেবিনের ওই কামরায় যেতেই অধ্যক্ষ খোলা একটি কনডম মুখের ভেতরে লুকাচ্ছিলেন। আমরা কয়েকজনে ধরে তার মুখ থেকে তা বের করে আনি’।

জামালপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাপস চন্দ্র পণ্ডিত আরটিভি অনলাইনকে বলেন, আটক অধ্যক্ষ ও ছাত্রীকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই ছাত্রী তার অধ্যক্ষের দ্বারা কোনওরূপ হয়রানির শিকার হয়নি বলে জানিয়েছেন। তাই সে থানায় কোনও অভিযোগও করবে না। অধ্যক্ষও তার সঙ্গে কোনও খারাপ আচরণ করেনি বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। তবে ট্রেনের যাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিকভাবে কর্তব্যরত জিআরপি পুলিশ সদস্যরা কেবিনের ওই কামরার ভেতরে অধ্যক্ষ ও ছাত্রীর অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগের অনেকটা সত্যতা পেয়েছে। তারা অধ্যক্ষের মুখে লুকানো একটি কনডমও উদ্ধার করেছে।

ওসি বলেন, তবে ছাত্রীটি অভিযোগ না করলেও এ ক্ষেত্রে রেলওয়ের আইন অনুযায়ী তারা দুজনই অপরাধী। আইনভঙ্গ করে তারা ট্রেনের কামরায় অসামাজিক কার্যকলাপ করে ট্রেনের অন্যান্য যাত্রীদের বিব্রতবোধ করার মতো অপরাধ করেছেন। সেই অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবে। সোমবার তাদেরকে জামালপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে হাজির করা হবে।

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
পার্কে ঘুরতে নিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার
কসবায় ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন কলেজছাত্রী
চার ঘণ্টা পর ব‌গি উদ্ধার, ট্রেন চলাচল স্বাভা‌বিক
স্কুলছাত্রীকে জোর করে চুমু দিয়ে মাদরাসাছাত্র গ্রেপ্তার
X
Fresh