• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে যুবককে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা পুলিশের, মামলা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি, আরটিভি অনলাইন

  ২৭ জানুয়ারি ২০২০, ২০:২৩
মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে চার পুলিশসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

লক্ষ্মীপুরে নুর আলম নুরু নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে চার পুলিশ সদস্যসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আজ সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আদালতে নুর আলমের মা নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলার আসামিরা হলেন- লক্ষ্মীপুর শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ কাওসারুজ্জামান, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মঞ্জুরুল ইসলাম, মহিউদ্দিন খন্দকার, কনস্টেবল কবির হোসেন, শহরের দক্ষিণ তেমুহনীর চা দোকানি আবুল হোসেন ও অজ্ঞাত আরও পাঁচজন।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রায়পুর থানার একটি মামলায় ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই নুর আলমকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। গত ৩০ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তার জামিন মঞ্জুর করে। ওইদিন সন্ধ্যায় জেল হাজতে থেকে বের হওয়ার সময় সাদা পোশাকে তিনজন লোক নুর আলমকে আটক করতে যায়। এসময় তিনি ভয়ে কারা পুলিশ ব্যারাকের রান্নাঘরে আশ্রয় নেন। পরে তারা নুর আলমকে সেখানে থেকে হাতকড়া ও চোখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে চোখের বাঁধন খুললে তিনি এসআই কাওসারুজ্জামানকে চিনতে পারে। এরপর থেকে প্রায় ৬ দিন পর্যন্ত তাকে আটকে রাখা হয়।

এরপর গত পাঁচ জানুয়ারি তারা নুর আলমের শাশুড়ি ফিরোজা বেগমের মোবাইল ফোনে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে নুর আলমকে ক্রসফায়ারে হত্যা বা অস্ত্র-মাদক মামলায় জড়িয়ে দিবে বলে হুমকি দেয়। এসময় দাবি করা টাকা শহরের দক্ষিণ তেমুহনী এলাকার চা দোকানি আবুল হোসেনের কাছে দিয়ে আসতে বলে। ওইদিন দুপুরে ১৯ হাজার ৫০০ টাকা আবুল হোসেনের কাছে দিয়ে আসা হয়। কিন্তু দাবি করা পুরো টাকা না দেয়ায় ওইদিনই ৪৫ পিস ইয়াবা দিয়ে নুর আলমকে তারা গ্রেপ্তার দেখায়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ২১ জানুয়ারি নুর আলমের বিরুদ্ধে মাদক মামলাটি তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। এতে এসআই কাওসারুজ্জামান ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। ওইদিনই আদালতের পুলিশ কাস্টডিতে নুর আলমকে তিনি ক্রসফায়ারের হুমকি দেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

বাদীর আইনজীবী আবদুল আহাদ শাকিল জানান, মামলাটি (সিআর-১০৯/২০২০) আদালতের বিচারক রায়হান চৌধুরী মামলাটি আমলে নিয়েছেন এবং নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেসটিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত এসআই কাওসারুজ্জামান বলেন, অভিযোগটি সত্য নয়। মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে আমাদেরকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ইউনূসের সাজা চলবে, বিদেশ যেতে নিতে হবে অনুমতি
খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত মঙ্গলবার
দ্বীন ইসলাম ও আম্মান রিমান্ডে
৪ সাংবাদিকের ওপর হামলা, ছাত্রলীগ নেতাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
X
Fresh